সামান্য বৃষ্টি হলেই হাঁটু পানি জমে যায়। বিদ্যালয়ে যেতে পারে না শিক্ষার্থীরা। ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ও শিক্ষকদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল ) সরেজমিনে গেলে এমনই অবস্থা দেখা যায় রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার শহীদবাগ ইউনিয়নের বল্লববিষু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে । বিদ্যালয়ের মাঠটি নীচু হওয়ায় এবং পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় মাঠটির বেশিরভাগ অংশই জলমগ্ন হয়ে থাকে।
অল্প কিছু অংশে পানি না থাকলেও তা কর্দমাক্ত ও স্যাঁতসেঁতে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষ ছেড়ে মাঠে নামতে পারছে না। জলাবদ্ধতার শ্রেণিকক্ষে যাতায়াতের সময় শিক্ষার্থীরা অনেকেই পা পিছলে পড়ে যায়। এতে নোংরা হয় তাদের জামা-কাপড় ভেজে যায় বই খাতা। যে কারণে অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসেন না।
এ ছাড়া মাঠে জমে থাকা কাদাপানির কারণে শিক্ষার্থীরা সমাবেশ করতে পারে না। এতে করে স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে দ্রুততার সঙ্গে বিদ্যালয় মাঠের জলাবদ্ধতা নিরসনের জোর দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
বল্লববিষু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহমান লাম, আরশি আক্তার চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী রূপায়ণ বর্মন,সামিয়া আক্তার ও তৃতীয় শ্রেণির রুমি আক্তার বলেন মাঠে পানি থাকার কারণে আমরা টিফিন টাইমে খেলাধুলা করতে বিদ্যালয়ে এসে শ্রেণিকক্ষেও একই অবস্থা। তাই তাদের মাঠটি দ্রুত সংস্কার করার দাবি জানায় তারা।
স্থানীয়রা জানায়, মাঠটি শুধু স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদেরই নয়, গ্রামের ছেলে মেয়েদেরও খেলাধুলার মাঠ। মাঠটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করা এবং পানি নিষ্কাশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা না করায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু জলাবদ্ধতা নিরসনে বাস্তবভিত্তিক কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: ফরিদুল ইসলাম বলেন, এই স্কুলে প্রায় ১১০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। আমি যোগদানের পর থেকে দেখে আসছি বর্ষার সময় মাঠে পানি জমে থাকায় স্কুলের শিক্ষার্থীরা শারীরিক শিক্ষা ও মাঠে খেলাধুলা করতে পারে না। বিষয়টি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মহোদয়কে একাধিকবার লিখিত ভাবে এবং অত্র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে, শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে ড্রেনের ব্যবস্থা করে জলাবদ্ধতা নিরসনের ব্যবস্থা করার দাবি জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শায়লা জেসমিন সাঈদ জানান, আমি বিষয়টি ইমারজেন্সি এডুকেশন ফান্ডে লিখিতভাবে জানিয়েছি এছাড়া ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলে কিভাবে পানি নিষ্কাশনের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরএস