কোরবানির ঈদে বাজার স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ফলে, দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৩ মাস পর আবার ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) বিকেল ৬টায় ভারত থেকে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এনি এন্টারপ্রাইজ হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ২৯৯ টন পেঁয়াজ আামদানি করেছে। ১২টি ট্রাকে এই পেঁয়াজ বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুনুর রশিদ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, 'মন্ত্রণালয় আমদানির অনুমতিপত্র (আইপি) না দেওয়ায় গত ৫ মে থেকে দেশের সব স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়। কোরবানির ঈদে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বন্দরের অনেক আমদানিকারক আইপি অনুমতি পেয়েছে। অনুমতি পাওয়ার পর থেকে বিভিন্ন ব্যাংকে এলসি করা হচ্ছে। মঙ্গলবার বিকেলে থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে।'
'এতে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে, সেই সঙ্গে দামও কমবে,' বলেন তিনি।
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত ৫ মে থেকে পেঁয়াজের আইপি ইস্যু বন্ধ করেছিল। গতকাল থেকে আবার আমদানিকারকদের আইপি দেওয়া শুরু করেছে মন্ত্রণালয়।'
বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শহীদুল ইসলাম জানান, দেশের পেঁয়াজ চাষিদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকার গত ৫ মে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করে দেয়। ফলে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ ফুরিয়ে যায়।
এরপর দেশি পেঁয়াজ দিয়ে চাহিদা মেটানো হলেও সেই পেঁয়াজেরও সরবরাহ কমে আসে। আবার দেশের বিভিন্ন এলাকায় বন্যা হওয়ার কারণে দাম বেড়ে যায়।
জানা গেছে, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ৬-১০ টাকা কমেছে। গতকাল যে পেঁয়াজ খুচরা বাজারে বিক্রয় হয়েছে ৫০ টাকা, সেই পেঁয়াজ আজ হিলিতে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা দরে।
এর আগে, গত কয়েক সপ্তাহে বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। গত সপ্তাহের শুরুর দিকে খুচরা বাজারে দেশীয় পেয়াজ প্রতি কেজি ৪০ টাকা দরে বিক্রি করা হলেও কয়েক দিনে তা কেজিতে ১০ টাকা বৃদ্ধি পায়।
আমারসংবাদ/টিএইচ