পিসিএসবি-আইপিএম এর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা চুক্তি

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২২, ১১:২৫ এএম

প্যালিয়েটিভ কেয়ার সোসাইটি অব বাংলাদেশ (পিসিএসবি) এবং ইনস্টিটিউট অব প্যালিয়েটিভ মেডিসিন (আইপিএম) কেরালার মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় কেরালাতে। এখানে ইনস্টিটিউট অব প্যালিয়েটিভ মেডিসিন কেরালার পক্ষ থেকে ডা. আনোয়ার হোসাইন (পরিচালক) এবং পিসিএসবি এর পক্ষ থেকে অধ্যাপক (ডা.) সানজিদা শাহরিয়া (সদস্য সচিব) এই চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।

এই দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার চুক্তির সাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর করেন, বাংলাদেশের পক্ষে অধ্যাপক (ডা.) হিদার রিচার্ডসন (সদ্য প্রাক্তন সিইও সেন্ট ক্রিস্টোফার হসপিস ইউকে; অধ্যাপক অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়) এবং অধ্যাপক (ডা.) নিজামুদ্দিন আহমাদ (প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিভাগ বিএসএমএমইউ; বিশ্বের নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলোর প্রথম প্যালিয়েটিভ মেডিসিনের অধ্যাপক) এবং আইপিএম এর পক্ষ থেকে ডা. সুরেশ কুমার (ডিরেক্টর; ডাব্লুএইচও ফেলো ফর কমিউনিটি পার্টিসিপেশন ইন প্যালিয়েটিভ কেয়ার অ্যান্ড লং টার্ম কেয়ার) এবং অধ্যাপক (ডা.) লিবি সালনো (ল্যানসেট কমিশন ভ্যালু অব ডেথ চিফ; কনসালট্যান্ট প্যালিয়েটিভ মেডিসিন সিএনডাব্লিউএল ন্যাশনাল হেলথ ট্রাস্ট ইউকে; অধ্যাপক ভিরিজে বিশ্ববিদ্যালয় ব্রাসেলস)।

বিশ্বের ৫২টি দেশের ২০০ জনের অধিক অংশগ্রহণকারি জন্য আয়োজিত ‘মাস্টার ক্লাস ইন প্যালিয়েটিভ কেয়ার’ এ উপস্থিত উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত আনন্দঘন পরিবেশে করতালির মাধ্যমে উদযাপন করেন।

অধ্যাপক (ডা.) লিবী সালনো এই মুহূর্তকে অঞ্চলিক সম্প্রীতির এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত বলে সবার সামনে উল্লেখ করেন। ডা. সুরেশ কুমার বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু, আগামীতে বাংলাদেশে প্যালিয়েটিভ কেয়ার বিস্তারে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সম্পৃক্ততা আরো জোরদার করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। অধ্যাপক (ডা.) হিদার রিচার্ডসন বাংলাদেশে আগামী দিনগুলিতে আরো সক্রিয় কার্যক্রম বিস্তারে ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

অধ্যাপক ডা. নিজামউদ্দিন আহমাদ, পরিশেষে সবাইকে বলেন, ‘বাংলাদেশ সততা, খোলামেলা সংলাপ এবং আশা নিয়ে সবার সাথে যুক্ত হতে আন্তরিক। কারণ মৃত্যু সবার জন্যই অমোঘ।’

উল্লেখ্য, পিসিএসবি এর জন্য এই এমওইউ এখন পর্যন্ত অর্জিত সবচেয়ে বড় সাফল্যের মাইল ফলক। এই সন্মানের দাবিদার পিসিএসবি এর সাথে যুক্ত শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত প্রতিটি মানুষ। কারণ একটি সংগঠন কখনই একা চলতে পারে না। তাই পিসিএসবি বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের জন্য ব্যাক্তি এবং প্রতিষ্ঠানিক মর্যাদা বজায় রেখে, মমতাময় সমাজ প্রতিষ্ঠায় সংকল্পবদ্ধ।