জাপানের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ বাংলাদেশী তৈরি করার লক্ষ্যে রাজধানীতে কাইকম ও ওয়াতামি গ্রুপের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬শে জানুয়ারি) সকাল ১১টায় বারিধারায় হোটেল নাসেন্ট গার্ডেনিয়ায় কাইকমের সঙ্গে জাপানিজ ওয়াতামি গ্রুপের মধ্যে যৌথ উদ্যোগে এ চুক্তি সাক্ষর করা হয়।
কাইকম ড্রিম স্ট্রিট কোম্পানি লিমিটেড জাপানী কোম্পানিগুলোর চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ বাংলাদেশী মানবসম্পদ তৈরি করবে।
যা প্রযুক্তিগত ইন্টার্ন ট্রেনিং পোগ্রাম (টিআইপিটি) এবং নির্দিষ্ট দক্ষ কর্মী (এসএসডব্লিউ) প্রেরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এই উদ্যোগ দুই দেশের মধ্যে কর্মশক্তির ব্যবধান কমাবে এবং পাশাপাশি উভয় দেশের অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ জাপানি দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ঐ উ কিমিনোরি ইওয়ামা। বিশেষ অতিথি হিসেবে জাইকা বাংলাদেশ অফিসের প্রধান প্রতিনিধি তোমোহিদে ইচিগুচি, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল কাদের এবং ওয়াতামি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও জাপানের প্রাক্তন সংসদ সদস্য মিকি ওয়াতানাবে উপস্থিত ছিলেন।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেট্রো বাংলাদেশ অফিসের প্রধান প্রতিনিধি ইউজি আন্দো, বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিস লিমিটেডের (বিওই এসএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মল্লিক আনোয়ার।
পাশাপাশি, জাপান ও বাংলাদেশ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, ১৫টিরও বেশি জাপানি কোম্পানির প্রতিনিধি যারা বহু বছর ধরে বিভিন্ন দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে কাজ করছেন।
ওয়াতামি এজেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট, জুন ওনেদার স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু হয় এবং অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন কাইকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও অঞ্জন দাস। তিনি তার বক্তব্যে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা, লক্ষ্য ও দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেন।
ওয়াটামি গ্রুপ জাপানের অন্যতম একটি বৃহত্তম গ্রুপ অব কোম্পানি যারা চেইন রেস্তোরাঁর ব্যবসা, কৃষি সংস্থা, বৃদ্ধাশ্রম ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পাশাপাশি, তারা ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সঠিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কম্বোডিয়া থেকে জাপানে দক্ষ মানবসম্পদ আনায়নে কাজ করে আসছে।
অন্যদিকে, কাইকম গ্রুপ জাপানের একটি বিখ্যাত সফ্টওয়্যার এবং পরামর্শ পরিষেবা কোম্পানি যারা ৫ বছর ধরে বাংলাদেশে তাদের জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের মধ্যে জাপানি ভাষা ও সংস্কৃতির প্রসার এবং বাংলাদেশে প্রথমবারের মত জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ প্রফিসিয়েন্সি টেস্ট সার্টিফিকেশন (জেপিটি) চালু করেছে
মূলত তারা সার্টিফাইড, দক্ষ জাপানি ভাষা শিক্ষার্থী তৈরিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
এআরএস