বাজারে বেড়েছে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম। সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে মাছ, মাংস, শাক-সবজির দাম। বাজারজুড়ে অতিরিক্ত দামের বোঝা বইতে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন নিম্নআয়ের মানুষ।
শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গরুর মাংসের কেজি ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা। ব্রয়লার মুরগী বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে।
শীত শেষ হতেই বেড়েছে শীতের সবজির দাম। কয়েকদিন আগেও ৩০ টাকা পিস দরে বিক্রি হওয়া ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা পিস হিসেবে।
কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে শিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। অপ্রত্যাশিত হারে বেড়েছে লাউয়ের দাম। মাঝারি আকারের একেকটি লাউ কিনতে ক্রেতাকে গুণতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত। লাউ শাকের আটিও ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
কাঁচা মরিচের কেজি ১২০ টাকা। একই দাম টমেটোর। শালগমের কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ পাতা, পেঁপে।
বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে, টমেটো ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শিম ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চাল কুমড়ার পিস ৪০ থেকে ৬০ টাকা, আকারভেদে লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। এছাড়া চিচিঙ্গা, পটল ও ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। কচুর লতি কিনতে কেজি প্রতি গুনতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। একই দর বরবটি আর দুন্দলের।
আলুর কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকা। পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
বাজার দরের প্রতি আক্ষেপ প্রকাশ করে রংমিস্ত্রি সিরাজ মিয়া ঢাকা মেইলকে বলেন, গরুর মাংস কবে কিনছি মনে নাই। দেশি মুরগীও কিনি না। ২৬০ টাকা কেজি। ব্রয়লারের দাম একটু কম। তাই ব্রয়লার কিনি।
লাইটের হকার ইসমাইল হোসেন প্রশ্ন রাখেন, ‘কোন সবজিটার দাম কম? আমগো ইনকাম বাড়ছে? বাড়ে না। খরচ বাড়ছে। সংসার চালানো কতটা কঠিন আমরা বুঝি।’
এআরএস