বাংলাদেশের জন্য ৩ প্রকল্পে ১.২৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। পরিবেশবান্ধব ও টেকসই উন্নয়নে সহায়তা দিতে এই ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের জন্য চার বছরের একটি নতুন অংশীদারত্ব কাঠামো (পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্ক) তৈরি করেছে বিশ্বব্যাংক। যা ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে পৌঁছানোর লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে বলে শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
ঋণের মধ্যে রয়েছে কৃষি ও পল্লী উন্নয়নে ৫০ কোটি ডলারের একটি প্রকল্প; যা কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থায় বৈচিত্র্য আনার পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, উদ্যোক্তা তৈরি এবং জলবায়ু সহনশীলতা তৈরিতে সহায়তা করবে।
আরও রয়েছে-পরিবেশবান্ধব ও জলবায়ু সহনশীল উন্নয়নে ৫০ কোটি ডলারের একটি প্রকল্প। এটি বাংলাদেশকে সবুজ এবং জলবায়ু-সহনশীল উন্নয়নে উত্তরণে সহায়তা করবে।
আর ২৫ কোটি ডলারের একটি প্রকল্প ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের টেকসই উত্তরণে সহায়তা করবে। এ খাতকে আরও গতিশীল করবে, দূষণ কমাবে, সম্পদ ব্যবহারের দক্ষতা বাড়াবে এবং জলবায়ু সহনশীল প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করবে।
অনুমোদিত এই তিন প্রকল্প মিলিয়ে বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৬.৩ বিলিয়ন ডলারে।
বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের মাল্টিল্যাটারাল ইনভেস্টমেন্ট গ্যারান্টি এজেন্সির দেওয়া ঋণের পরিমাণ ১ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। এছাড়া আইএফসির প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের একটি প্রকল্প চলমান আছে।
বিশ্বব্যাংক বলছে, তাদের ‘কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্ক’ তৈরি করা হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রেক্ষিত পরিকল্পনার (২০২১-২০৪১) সঙ্গে মিল রেখে; যা উচ্চ এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের বাধাগুলো চিহ্নিত করে ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জনে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে।
আরএস