বর্তমানে দেশের রিজার্ভের পরিমাণ ২৯.৯৭ বিলিয়ন ডলার। এ রিজার্ভ দিয়ে প্রায় চার মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনের সময় এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এ বাজেট উপস্থাপন করছেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, দেশে দারিদ্র্যের হার ২০০৫ সালে ছিল ৪০ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ১৮.৭ শতাংশে নেমে এসেছে। একই সময়ে অতি দারিদ্র্যের হার ২৫.১ শতাংশ থেকে তিন-চতুর্থাংশ কমে ৫.৬ শতাংশ হয়েছে। ২০০৭-০৮ সালে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল মাত্র ৬.১ বিলিয়ন ডলার। যা দিয়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যেত। বর্তমান রিজার্ভের পরিমাণ ২৯.৯৭ বিলিয়ন ডলার, যা সাড়ে চার মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানোর জন্য যথেষ্ট।
তিনি আরও বলেন, বাজেটের আকার ২০০৭-০৮ অর্থবছরের ৭৯ হাজার ৬১৪ কোটি টাকার তুলনায় সাড়ে নয়গুণের বেশি বাড়িয়ে আগামী অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। করবহির্ভূত ও অন্যান্য আয়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ২০ হাজার কোটি টাকা। কর ছাড়া প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকা। আর বৈদেশিক অনুদান থেকে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। বাজেটে মোট ঘাটতির পরিমাণ (অনুদান ছাড়া) ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। অনুদানসহ এ ঘাটতি ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। বিশাল এ ঘাটতি পূরণে সরকার কোন খাত থেকে কত টাকা ঋণ নেবে তারও একটি ছক তৈরি করা হয়েছে।
আরএস