রিজার্ভ ইস্যুতে আইএমএফের শর্তকে পাত্তা দিচ্ছে না বাংলাদেশ ব্যাংক। সংস্থাটির ঋণ নিতে রিজার্ভ সংরক্ষণের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বাংলাদেশ তা কোন আর্থিক সূচক নয় বলে উড়িয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে মুখপাত্র এ মন্তব্য করেন।
মুখপাত্রের নিকট প্রশ্ন ছিল আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী চলতি সেপ্টম্বরে রিজার্ভ ২৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার থাকতে হবে। অথচ বর্তমানে রয়েছে ২১ বিলিয়ন ডলার। রিজার্ভের ধারাবাহিক এ পতন কিভাবে ঠেকানো যায়।
এর উত্তরে তিনি বলেন, ‘আইএমএফের সঙ্গে কমিটমেন্ট কোন অর্থনৈতিক সূচক নয়।’ রেগে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঋণের পাওয়ার জন্য কি কমিটমেন্ট দিয়েছি সেটাকে কেন ইকোনমিক থিওরি ধরে নিচ্ছেন।’
প্রশ্ন রেখে মুখপাত্র বলেন, ‘আইএমএফ কি বলতে পারবে রিজার্ভ ২৪ বিলিয়ন থাকলে বাংলাদেশের ইকোনমি সুন্দর ও সুস্থ? এটা কোন ইকোনমিক থিওরি নয়। ঋণের বিষয়ে আইএমএফকে আমরা যা বলেছি তা অর্থনৈতিক সূচক নয়।’এছাড়া রিজার্ভের ধারাবাহিক পতন আশঙ্কাজনক নয় বলে মনে করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
উল্লেখ্য, ঋণ চুক্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চ থেকে আইএমএফের বিভিন্ন শর্ত মেনে চলছে সরকার। সংস্থাটির পরিমাণগত কর্মক্ষমতা মানদণ্ড অনুযায়ী, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ চলতি বছরের জুনে ২৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার এবং ডিসেম্বরে ২৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে থাকতে পারবে না।
অথচ আইএমএফ স্বীকৃত বিপিএম ৬ অনুযায়ী বর্তমানে রিজার্ভ রয়েছে ২১ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ সংস্থাটির শর্তের চেয়ে ৪ বিলিয়ন ডলার কম রয়েছে রিজার্ভ।
এইচআর