কিনছি না মেলা ঘুরে দেখছি

আমার সংবাদ ধর্ম ডেস্ক প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২৪, ০৪:১২ পিএম

রাসেল দাম্পত্যি চাকুরি করেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পরিবার নিয়ে এসেছেন ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায়। ক্রয়ের মত পণ্য দেখা মিললেও দাম বেশি হওয়ায় অনেকটা হাতাশ। এদোকান থেকে ও দোকান ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তিনি জানান, সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় পরিবার নিয়ে এসেছি। দেখছি কিছু পণ্য পছন্দ হলেও দামে মেলাতে পারছি না। তিনি আরো বলেন,  মেলার পরিবেশ আগের চেয়ে ভালো।

গত ২১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। মেলার প্রথম  সাপ্তাহিক ছোটির দিনে ছিলো দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। সরেজমিনে দেখা যায়,  পরিবার পরিজন নিয়ে মেলায় প্রবেশ করছে দর্শনার্থীরা।  সকাল ১১ পর্যন্ত ভিড় কম থাকলেও ২ টার পর থেকে মেলাপ্রাঙ্গণে জনশ্রত নামতে থাকে।

এদিকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ফার্মগেট পর্যন্ত কাজ শেষ হওয়া ও পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ হওয়ায় অনেকটা স্বস্তি নিয়ে মেলায় প্রবেশ করতে পারছেন মেলায় আগত কথা হয় মিলন নামে এক দর্শনার্থীর সাথে। তিনি আমার সংবাদকে বলেন, মেলায় ও ভাইরাল রাস্তা দেখতেই এসেছি। সৌন্দর্যের রাস্তা ধরেই মেলায় আসলাম। আমাদের সরকার এত সুন্দর কাজ করেছে যা অকল্পনীয়।

কিবরিয়া নামে আরেক দর্শনার্থী জানান, আমরা তিন বন্ধু মিলে মেলায় ঘুরতে এসেছি। খামারবাড়ি খেজুরতলা থেকে বিআরটিসির দোতলানগাড়িতে এসেছি মাত্র ৩৫-৪০ মিনিটেই মেলায় পৌছাইছি। রাস্তাটি দেখে আসলে বিদেশের রাস্তার মত লাগছিলো। অসাধারণ অনূভুতি। 

দর্শনার্থী নুর জানান, আমি মেলায় আসছি বেশ কিছু পণ্যের দাম দেখলাম। দামটা তুলনামূলক বেশি। মান অনুযায়ী দাও একটু বেশি চাচ্ছেন তারা। বিক্রেতারা বলেন, সব কিছুর দাম বেশি এই কারণে পূন্যের দাম কিছুটা বেশি হলেও পূন্যের মান হিসেবে তারা শতভাগ নিশ্চিত থাকবে।

এবারের মেলায় দেশ-বিদেশের মোট ৩৩০টি স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন থাকবে। এর মধ্যে ১৫-১৮টি বিদেশি স্টল রয়েছে।বরাবরের মতো ভারত, পাকিস্তান, ইরান, তুরস্ক, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ব্যবসায়ীরা এবারের মেলায় অংশ নেবেন। এ ছাড়া স্থানীয় উদ্যোক্তারাও তাঁদের পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করবেন।

ইপিবি সূত্রে জানা যায়, গত বছর বাণিজ্য মেলায় দেশ-বিদেশের ৩৩১টি স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন ছিল। গত বছর সিঙ্গাপুর, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ ১০টি দেশের ব্যবসায়ীরা তাঁদের পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করেন। মাসব্যাপী এ মেলায় ১০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।

এ ছাড়া মেলায় ৩০০ কোটি টাকার তাৎক্ষণিক রপ্তানি আদেশও পাওয়া যায়। মেলায় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ দর্শনার্থী উপস্থিত হয়েছিলেন বলে জানায় ইপিবি। ২০২৩ সালে মেলার প্রবেশের টিকিটের দাম ছিল বড়দের জন্য ৪০ টাকা আর শিশুদের জন্য ২০ টাকা। এ বছরও বড়দের জন্য ৫০ টাকা আর শিশুদের জন্য ২৫ টাকা হারে ফি নির্ধারণ করা হবে বলে ইপিবি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এইচআর