প্রথম ছুটির দিন শুক্রবার ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ক্রেতা দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। ছুটির দিনে সব বয়সী ক্রেতা-দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত মেলা প্রাঙ্গণ। দর্শনার্থীদের স্রোতে মেলায় যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। তাই বিক্রেতাদের মুখেও দেখা গেছে সন্তুষ্টির ছাপ।
শুক্রবার বিকেল থেকেই দর্শনার্থী বাড়তে থাকে বাণিজ্য মেলায়। সন্ধ্যায় একদিকে পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ের পথ অন্যদিকে এশিয়ান হাইওয়ের রাস্তার গাজীপুর নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী থেকে দর্শনার্থীদের জট শুরু হয়। দুই দিক দিয়ে হেঁটে দর্শনার্থীরা মেলায় প্রবেশ করে।
মেলায় দর্শনার্থী বাড়তে থাকায় এ সময় বিক্রেতাদেরও ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। আশানুরুপ ক্রেতা-দর্শনার্থী পেয়ে খুশি বিক্রেতারা। এবছর ক্রেতা-দর্শনার্থীদের সাড়া গত বছরের তুলোনায় ভালো পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন মেলায় অংশ নেওয়া স্টল-প্যাভিলিয়নের মালিকরা।
এদিকে, মেলায় গৃহস্থলি বিভিন্ন পণ্যের প্রতি ক্রেতাদের বেশি আগ্রহ দেখা গেছে। প্লাস্টিক পণ্যের পাশাপাশি আগ্রহ রয়েছে প্রেসার কুকার, জুস মেকার, জুস ব্লেন্ডার, ওভেন, রাইস কুকার, ইস্ত্রি, ইন্ডাকশন চুলা, ফ্যানসহ নানা ধরণের ইলেক্ট্রনিক ও ইলেক্ট্রিক গৃহস্থলি পণ্যে।
মেলায় পাটজাত পণ্য নিয়ে অংশ নেয়া ইজমা ব্র্যান্ড এর মালিক মো. সালমান ফারসি জানান,এ বছর অনেক সাড়া পাচ্ছি।পাটজাত পন্যের প্রতি ক্রেতাদেরও আগ্রহ রয়েছে। মেলায় অন্যান্য দিনের চেয়ে শুক্রবার ক্রেতা দর্শনার্থীর বেশি হওয়ায় বেচা বিক্রিও ভালো হচ্ছে।আবহাওয়া ভাল থাকলে আর যদি বৃষ্টি না হয় এবার অনান্য বছরের তুলনায় বিক্রি বাড়বে বলে আসা করছেন।
মেলায় আসা রাজধানীর নতুন বাজার থেকে আসেছেন ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজ তিনি আমার সংবাদকে বলেন, হরেক রকমের পন্য পাওয়া যায় বলে প্রতি বছরই মেলার অপেক্ষায় থাকি। এবার মেলা থেকে একটি রাইস কুকার ও ঘরে ব্যবহারের জন্য প্লাস্টিকের বিভিন্ন সামগ্রি কনেছি। অনেক পন্যের উপর অফার দিচ্ছে ঐগুলা দেখছি পছন্দ হলে আরও জিনিশ কিনবো।
গাজীপুরের পূবাইল এলাকা থেকে আসেছেন নাহিদ নিয়াজ তিনি জানান বাণিজ্য মেলায় প্রতিবছর কয়েকবার আসা হয় এ বছর আজ প্রথম মেলায় আসলাম সব কিছু ঘুরে দেখলাম পন্যের যাচাই-বাছাই করলাম সামনে যখন আসবো কেনাকাটা করবো।
উল্লেখ গত ২১ জানুয়ারি পূর্বাচলে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৪ এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের বাণিজ্য মেলার প্রবেশ টিকিট মূল্য গতবারের চেয়ে ১০ টাকা বাড়িয়ে ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আর শিশুদের টিকিটের মূল্য ২০ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩০ টাকা। এবারের আয়োজনে বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়ন ও স্টলের সংখ্যা ৩৫১টি। এছাড়া দুই হলে ১৭৪টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে থাকছে রেস্তোরাঁ, মসজিদ, ব্যাংক, এটিএম বুথ, শিশু পার্ক, মা ও শিশু কেন্দ্র।
এইচআর