দেশের চতুর্থ প্রজন্মের বীমা প্রতিষ্ঠান সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের জানুয়ারি মাসের ব্যবসায় ‘বিস্ময়কর’ অগ্রগতি হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি নতুন বছরের শুরুর দিন অর্থাৎ ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম আয় করেছে ২৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। এ সময়ে রিনিউয়াল প্রিমিয়াম এসেছে ৩৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। একই সময়ে গ্রস প্রিমিয়াম দাঁড়িয়েছে ৬৯ কোটি টাকা।
কোম্পানি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জানুয়ারি মাসের সব প্রিমিয়াম এখনো জমা হয়নি। সব জমা হলে গ্রস প্রিমিয়াম ৭০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে।
জানা গেছে, সোনালী লাইফের সাবেক মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মীর রাশেদ বিন আমানসহ কয়েকজন কর্মকর্তার নামে জানুয়ারি মাসেই অর্থ আত্মসাতের মামলা হয়। তাছাড়া রাশেদ বিন আমানের নৈতিক স্খলন ও অনিয়মের খবরও ছড়িয়ে পরে ডিসেম্বর শেষ দিকে।
[269978]
এছাড়া কোম্পানির আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠায় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নিয়োগ করা অডিট ফার্ম হুদাভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোংয়ের নিরীক্ষা চলে পুরো জানুয়ারি জুড়ে; যা এখনো চলমান। এ অবস্থায় কোম্পানির ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছিল। তবে সব আশঙ্কা দূর করে জানুয়ারিতে ভালো ব্যবসা করেছে কোম্পানিটি।
জানুয়ারিতে সোনালী লাইফের ব্যবসায় যে শুধু অগ্রগতি হয়েছে তা নয়, এ মাসে কোম্পানিটি ৪৪৬টি ফুল ম্যাচিউরিটি বাবদ ১১ কোটি ৫ লাখ টাকা পরিশোধ করেছে। এক হাজার ১৭১টি সারভাইভাল বেনিফিট বাবদ পরিশোধ করেছে ৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।
[269627]
সদ্য সমাপ্ত মাসে সোনালী লাইফ ৩টি গ্রুপ বীমা দাবির বিপরীতে এক লাখ ৪৬ হাজার টাকা পরিশোধ করেছে। ২২টি মৃত্যু বীমা দাবির বিপরীতে পরিশোধ করেছে ৩৮ লাখ টাকা। ১১টি সহযোগী বীমার বিপরীতে পরিশোধ করেছে ৪২ হাজার টাকা এবং ৩টি গ্রুপ বীমা মৃত্যু দাবি বাবদ পরিশোধ করেছে ৯ লাখ টাকা।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সোনালী লাইফে ৭দিনের মধ্যে মৃত্যু দাবি পরিশোধের নিয়ম প্রচলিত থাকলেও ৩ বা ৪ দিনের মধ্যেই অনেকের দাবি পরিশোধ করা হয়েছে। আর ম্যাচিউরিটিসহ অন্যান্য দাবি নির্ধারিত দিনেই (ডিউ ডেট) পরিশোধ করে ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে কোম্পানিটি।
এআরএস