মার্কিন চাকারি বিষয়ক পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে আসার পর বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিতে শিগগিরই সুদহার কমছে না- এমন শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে বিশ্ববাজারে কমে যেতে পারে জ্বালানি তেলের দাম। এতে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম ২ শতাংশ পড়ে গেছে।
গত সপ্তাহে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের উভয় বেঞ্চমার্কের দাম কমেছে প্রায় ৭ শতাংশ।
গত সপ্তাহে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের উভয় বেঞ্চমার্কের দাম কমেছে প্রায় ৭ শতাংশ। এসবের পাশাপাশি গত সপ্তাহে অপরিশোধিত তেলের দাম কমে যাওয়ার ওপর প্রভাব পড়েছে চীনা অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি এবং মধ্যপ্রাচ্যের চলমান অস্থিরতা কিছুটা কমার।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শুক্রবার ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ১ দশমিক ৩৭ ডলার বা ১ দশমিক ৭ শতাংশ কমে ব্যারেলপ্রতি দাঁড়িয়েছে ৭৭ দশমিক ৩৩ ডলার। ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের দাম ১ দশমিক ৫৪ ডলার বা ২ শতাংশ কমে প্রতি ব্যারেল ঠেকেছে ৭২ দশমিক ২৮ ডলারে। এ ছাড়া গত সপ্তাহে উভয় বেঞ্চমার্কের দাম প্রায় ৭ শতাংশ কমে গেছে।
সাধারণত সুদের হার চড়া থাকলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং জ্বালানি তেলের চাহিদা কমে যায়। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর মতো প্রধান অর্থনীতির দেশগুলোয় সহসাই সুদহার কমে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, জানুয়ারিতে মার্কিন নিয়োগকর্তারা প্রত্যাশার তুলনায় বেশি কর্মী তাদের কোম্পানিতে নিয়োগ দিয়েছেন। যা ফেডারেল রিজার্ভের শিগগিরই সুদহার কমানোর সম্ভাবনাকে কমিয়ে দিয়েছে। ফলে বিশ্বের সব প্রধান মুদ্রার বিপরীতে ডলারের দাম বাড়তি থাকবে।
ইএইচ