সবজির বাজারে স্বস্তি ফিরলেও বেড়েছে পেঁয়াজের ঝাঁজ

মো. ইমরান খাঁন প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৪, ০৩:৩৩ পিএম
ছবি: আমার সংবাদ

শীতের অজুহাতে কয়েক সপ্তাহজুড়ে ভরা মৌসুমেও চড়া দাম ছিল সবজির। তবে আজ কিছুটা কমেছে সবজির দাম। কেজিপ্রতি ১০-২০ টাকা কমেছে প্রায় প্রত্যেকটি সবজির দাম। তবে এখনও স্বস্তি ফিরেনি।

এদিকে গত দুদিনে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ২০ টাকা। এখন ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দরে, যা ছিল ১০০ টাকা। আর গত এক সপ্তাহে বেড়েছে ৪০ টাকা। তার আগের সপ্তাহে কেজি ছিল ৮০ টাকার মধ্যে।

শুক্রবার রাজধানীর পলাশী কাঁচাবাজার, নিউমার্কেট কাঁচাবাজার ও হাতিরপুল কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে এ চিত্র।

এসব বাজারে লম্বা বেগুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা, গোল বেগুন ৭০-৮০ টাকা, ফুলকপি ৪০-৫০ পিস, একই দামে বাঁধাকপি। শিম ৭০-৮০ টমেটো ৫০-৬০, পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, করলা ৭০-৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০-৭০ টাকা, ঢেঁড়শ ৭০-৮০ টাকা মান ও সাইজভেদে লাউ ৭০-১০০ টাকা, শসা ৫০-৬০, মূলা ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা গত সপ্তাহজুড়ে কিছুটা ১০-২০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হয়েছে।

এছাড়াও শাকের মধ্যে সরিষা শাক আঁটি ১৫ টাকা, ডাটা শাক ১৫ টাকা, পালং ১৫-২০ টাকা, লাউ শাক ৪০-৫০, লাল শাক ১৫ টাকা, বথুয়া শাক ১৫-২০ টাকা আঁটি বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে দোকানের তুলনায় ভ্যানে কিংবা ফুটপাতের দোকানগুলোতে প্রত্যেক সবজির দাম ৫-১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর দাম কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহে ৪০-৪৫ টাকা কেজি বিক্রি হলেও আজ তা ৩৫-৪০ টাকায় নেমেছে। তবে কমেনি পেঁয়াজের দাম। ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ।
অপরদিকে অস্বস্তি রয়েই গেছে মাছ-মাংসের বাজারে। আবারও ২০০ টাকা ছাড়িয়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। সোনালি ৩০০-৩৩০ টাকা। আবারও গরুর মাংস ৭০০-৭৫০ টাকায় দাম উঠেছে।

মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে নগরের চাকরিজীবীরা বেতন পান। এ সময় অনেকেই গরুর মাংসের প্রতি ঝুঁকেন। তবে ব্যয়ের লাগাম টানতে সাড়ে সাতশো টাকার গরুর মাংস থেকে সরে এসেছেন অনেক ক্রেতাই। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আধা কেজি আর এক কেজি পরিমাণ গরুর মাংস কেনার খদ্দেরই বেশি।

মাছের বাজারে সাইজ ভেদে তেলাপিয়া ২২০-২৩০ ও পাঙাশ ১৮০ থেকে ২২০ টাকা। যা গত সপ্তাহেও একই দামে বিক্রি হয়েছে।  অন্য মাছের মধ্যে মাঝারি ও বড় আকারের চাষের রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছের দাম প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। এছাড়াও ৬০০ টাকার নিচে নেই পাবদা, টেংরা, কই, বোয়াল, চিতল, আইড় ও ইলিশ মাছ। মাছ যত বড় তার দাম ততো বেশিতে বিক্রি হচ্ছে।

একজন বিক্রেতা বলেন, এখন কম দামের মাছের চাহিদা বেশি। দামি মাছ মানুষ কম খায়।

ব্যয়ের লাগাম টানতে খরচ সাশ্রয়ের জন্য অনেকে অন্যান্য মাছের উপর প্রাধান্য দিচ্ছে পাঙাশ মাছকে।
মাছ কিনতে আসা একজন গৃহিণী বলেন, ‘আমার বাসায় আমার জামাই ছাড়া পাঙাশ মাছ কেউ খাইতো না। এখন সবাই খায়। না খাইয়া উপায় নাই। অন্য মাছের অনেক দাম।’

ইমরান/ইএইচ