সরেজমিনে বাণিজ্য মেলা

ছুটির দিনে ক্রেতাশূন্যতার খরা কাটলো

রফিকুল ইসলাম, পূর্বাচল থেকে প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪, ০৫:১২ পিএম
ছবি: আমার সংবাদ

দর্শনার্থী থাকলেও গত কয়েক দিনের ক্রেতাশূন্যতার খরা কেটেছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায়।

শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মেলায় ক্রেতা ও দর্শনার্থীর উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। স্টলগুলোতে বিক্রি অনেক বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সরেজমিনে মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের জেলার লোকজন মেলায় আসতে শুরু করেন। বিকাল নাগাদ জনসমুদ্রে রূপ নেয় বাণিজ্য মেলাস্থল।

সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় টিকিট কাউন্টার থেকে শুরু করে প্রবেশমুখ ও উন্মুক্ত স্থানসহ সব স্টলগুলোতে ক্রেতা ও দর্শনার্থীর উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।

গত ২১ জানুয়ারি মেলা শুরু হলেও এতদিন ক্রেতাশূন্যতায় কাটছিল ব্যবসায়ীদের দিন। তবে ছুটির দিনে দর্শনার্থী ও বিক্রি বাড়ায় খুশি বিক্রয় কর্মীরা।

২১তম দিনে মেলা ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন খাদ্যপণ্য, গ্রোসারি শপ ও ক্রোকারিজ পণ্যের স্টলে ভিড় বেশি। ছুটির দিনে অনেকেই পরিবার নিয়ে মেলায় এসেছেন। কেউ আবার বন্ধুদের সঙ্গেও এসেছেন। তারা মেলায় বিভিন্ন স্টলে স্টলে ঘুরে ও মেলা প্রাঙ্গণে ছবি তুলে সময় কাটাচ্ছেন।
বি.এম কালেকশনের বিক্রয়কর্মী আমার সংবাদকে বলেন, মেলার শুরুতে শীতের কারণে ক্রেতা কম ছিল। তবে ছুটির দিনগুলোতে দর্শনার্থী বেশি ছিল, শেষের দিকে এখন ক্রেতার সংখ্যাও বেড়েছে। আমাদের স্টলেই আজ কয়েক হাজার মানুষ এসেছে। আজকে ক্রেতাদের বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছি।

শুধু বাণিজ্য মেলাতেই লোকে লোকারণ্য তা নয়। এদিন দুপুরে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে বাণিজ্য মেলাগামী বিআরটিসি বাসেও ছিল উপচে পড়া ভিড়। একটা বাস আসতে না আসতেই যাত্রীতে ভরে যাচ্ছিল। বাস কাউন্টারে টিকিটের জন্য যাত্রীদের দীর্ঘ সারি ছিল চোখে পড়ার মতো।

এর আগে, গত ২১ জানুয়ারি পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৮তম আসরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলবে।

রফিকুল/ইএইচ