যেসব পণ্য কৃষি বিভাগে উৎপাদিত হয়, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর তার যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করেছে। তবে এটি কিন্তু নির্ধারিত নয়। আমরা কার্যক্রমটি শুরু করেছি মাত্র। ধীরে ধীরে উৎপাদক, পাইকারি এবং খুচরা বিক্রেতাদের শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে পারলে দাম পর্যায়ক্রমে কমে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) টাঙ্গাইল শহরের পার্ক বাজার মনিটরিংয়ে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, উৎপাদক থেকে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের জন্য অ্যাপস দেয়া হচ্ছে। কোনো মধ্যস্বত্ব ভোগী রাখা হবে না। যাতে করে সাধারণ ক্রেতারা হয়রানি না হয়। আমরা সারাদেশে যে মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছি সে অনুযায়ী বাজারের ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছে, কয়েকটা জায়গায় কম মূল্যও বিক্রি করা হচ্ছে। চিনি ১৪০ টাকার জায়গায় ১৩৮ টাকাও বিক্রি করছে। তেল ১৬৩ টাকার বিপরীতে ১৫৮ টাকা বিক্রি করছে। সবশেষে ৫ টাকা আলুর দাম বৃদ্ধির কারণ কৃষি অফিসারের কাছে জানতে বলেন তিনি।
এসময় তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যারা অবৈধভাবে মজুত করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অভিযান মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। বাজারে পণ্য সরবরাহ থাকলে মূল্যও ঠিক থাকবে। খুচরা পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের জরিমানা করতে চাই না। যারা উৎপাদক বা পাইকার তারা খুচরা ব্যবসায়ীদের ন্যায্যমূল্যে দিতে পারলে তারা ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করতে পারবে। খুচরা বিক্রেতা যদি সঠিক কাগজ দেখাতে পারে তাহলে তাদের জরিমানা করা হবে না।
এদিকে সোমবার টাঙ্গাইল শহরের পার্কের বাজারগুলোকে জানানো হয় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী মঙ্গলবার বাজার মনিটরিং করবেন। ফলে ব্যবসায়ীরা সেই মোতাবেক মন্ত্রীর আগমনে জিনিসপত্রের দাম কিছুটা কমিয়েছেন বলে দাবি করেছেন ক্রেতারা।
বিআরইউ