ঈদের পর ধারাবাহিক দরপতনে শেয়ার বাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০২৪, ০৭:৪৮ পিএম

ঈদের পর লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক দরপতন হয়েছে।সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস ১৮ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) দেশের শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক দরপতন হয়েছে। শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের সবকটি মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে।।

অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমলেও লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে ডিএসইতে। গতকাল ৮৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে। একই ধারাবাহিকতা রয়েছে দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে এর বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটে।

এর আগে ধারাবাহিক দরপতনে দেশের শেয়ার বাজারে ডিএসই এর বাজার মূলধন কমে যায় প্রায় একলাখ কোটি টাকার বেশি।তবে ঈদুল ফিতরের ছুটি শুরু হওয়ার আগে টানা চার কর্মদিবসে দেশের শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী ছিল। যার দরুণ দেশের শেয়ার শেয়ারবাজার উর্ধ্বমূখী থাকবে এমনটাই প্রত্যাশা করছিলেন বিনিয়োগকারীরা।

কিন্তু ঈদের ছুটি শেষে আবার শেয়ারবাজারে টানা দরপতন দেখা দিয়েছে। ঈদের ছুটি শেষে প্রথম তিন কার্যদিবস দরপতনের পর বৃহস্পতিবার লেনদেনের শুরুতেই দাম কমার তালিকায় নাম লেখায় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান।

দিনের শুরুতে লেনদেনে দেখা দেওয়া দরপতনেরে এ ধারা দিনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। লেনদেনের সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পতনের মাত্রা বাড়তে থাকে। ফলে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচকের বড় পতন দিয়ে দিনের লেনদেন শেষ হয়।

গতকালের লেনদেনে দেশের প্রধান শেয়ার বাজার ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে মাত্র ২৯টি প্রতিষ্ঠান। অপরদিকে দরপতন হয়েছে ৩৪২টি প্রতিষ্ঠানের। এবং দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টি প্রতিষ্ঠানের। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৭৭ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৬৮৬ পয়েন্টে নেমে গেছে।

অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৮৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৪৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের মূল্যসূচক কমলেও ডিএসইতে লেনদেন বেড়ে ৫০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫২২ কোটি ৫১ টাকা। আগের কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪৮২ কোটি ৫৩ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৩৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।

গতকালের লেনদেনে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিসের শেয়ার সব থেকে বেশি অবদান রেখেছে।৩৯ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ কোম্পানিটির। ৩৩ কোটি ২১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বেস্ট হোল্ডিং। লাভেলো আইসক্রিম ২০ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ।

দেশের বড় শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, গোল্ডন সন, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, ফু-ওয়াং ফুড, প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, ফু-ওয়াং সিরামিকস এবং মালেক স্পিনিং।

দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ২১৫ পয়েন্ট। সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২১১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৬টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫৭টির এবং ১৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ৫ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।

আরএস