আগে কিনতাম যদি ১ কেজি এখন ২৫০ গ্রাম কিনে নিয়ে যাই। অনেক সময় শুধু চোখ দিয়ে দেখে বাসায় চলে যায়। এ দেশে কোন কিছুর দাম যদি বাড়ে সেটা আর কখনো কমে না শুধু বাড়তে থাকে। আমাদের বেতন তো এইভাবে প্রতিনিয়ত বাড়ে না শুধু দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ে। এইভাবে মনের আক্ষেপ প্রকাশ করলেন বেসরকারি চাকরিজীবী আবদুর রহিম।
শুধু আবদুর রহিম নয় মাছ কিনতে আসা জাহেদ হাসানেরও এই আক্ষেপ। বেশি দাম হলেই কিনতে হয় যেখানে ২ কেজি কিংবা ১ কেজি নিতাম সেখানে আধা কেজি নেই কি করবো। খাওয়া তো লাগবে।
[281706]
সপ্তাহখানেক আগে ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল কাঁচামরিচ। সপ্তাহ ঘুরে দাম বেড়েছে ২০০ টাকা থেকে ২৮০ টাকা পর্যন্ত। ব্যবসায়ীরা বলছেন, কাঁচা মরিচের চাষ তুলনামূলকভাবে কম হয়, অন্য দিকে তীব্র রোদের কারণে গাছ মরে গেছে যার কারণে মরিচের সংকট বলে দাবি করেন তারা।
শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায় গত কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে সব কিছুরই দাম বেড়েছে। শুধু মাত্র সবজির দাম কিছুটা কমেছে।
বাজারে প্রতি কেজি ধুন্দল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা করে, ঝিঙে ৮০ টাকা কেজি, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, বেগুন কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। অথচ এসব সবজির প্রায় সবগুলোই এই মৌসুমেরই সবজি।
[281143]
এছাড়াও বাজারে প্রতি পিস ফুলকপির দাম ৬০ টাকা, বাঁধা কপি ৬০ টাকা ও লাউ ৬০ থেকে ৮০ টাকা পিস, প্রতি কেজি গাজর ৭০ টাকা, পেঁপে ৮০ টাকা, টমেটো ৫০ থেকে ৬০ টাকা, আলু ৫৫ থেকে ৬০ টাকা।
এদিকে খাসির মাংস ১১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৭৫০ টাকা। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা কেজিতে। লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৭০ টাকায়। আর সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ৩৬০ টাকা ও দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায়।
[280020]
এদিকে, বাজারে সব ধরনের মাছের দামই বাড়তি যাচ্ছে। এর মধ্যে রুই মাছ প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, বড় রুই ৪০০ টাকা, পাঙাশ ২৩০ টাকা, চিংড়ি আকারভেদে ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকায়, পাবদা ৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, চাষের কই ২৮০ টাকায়, কাতল ৩৫০ টাকায়, গুলশা প্রতি কেজি ৫৫০ টাকায়, টেংরা ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, বড় শিং ৫৫০ টাকায়, ছোট শিং ৪০০ টাকায়, বড় বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা ও বড় আইড় মাছ ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মিরাজ/ইএইচ