এটি ছাগল! ওজন তার ১৭০ কেজি। ৬২ ইঞ্চি উচ্চতা অর্থাৎ একটি মানুষের সমান তার উচ্চতা। রংটা লালচে। শরীরের গঠন সুদর্শন বটে! ছাগলটি শরীরে এত মাংস যে সে যখন হাটে তখন তাকে হেলেদুলে হাঁটতে হয়। তার খাবার তালিকাতে আছে সব রাজকীয় খাবরার, আপেল, কলা, বাদা, ভুট্টা সা আরো অনেক কিছু। পাঞ্জাবের ছাগলটি রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাকিদ অ্যাগ্রো খামারে এসেছে। তার খামারে কয়েক হাজার কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হলেও এই মুহূর্তে এই ছাগলটা আকর্ষণীয়। সাদিক এগ্রোর পক্ষ থেকে দাম চাওয়া হয়েছিল ১৫ লক্ষ টাকা। শেষ পর্যন্ত তা ১২ লক্ষ টাকায় বিক্রি করেছেন । এটি কিনেছেন গুলশানে এক বৃত্তবান। ছাগলটি বাহিরে রাখায় প্রতিনিয়ত ভিড়ও করছেন অনেকে।
ইমরান হোসেন আমার সংবাদকে বলেন, বিটল ব্রিডের ছাগল এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ছাগল এটি। আমরা গত এক মাস আগে যশোরের একটি মালিকের কাছ থেকে এনেছি। উনি এটা পাঞ্জাব থেকে এনেছেন। এর ওজন ১৭০ কেজি। এর উচ্চতা ৬২ ইঞ্চি বা একজন মানুষের সমান। আমরা যখন আমাদের খামারে আনি তখন এর চাওয়া দাম ছিল ১৫ লক্ষ টাকা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটা আমরা ১২ লক্ষ টাকায় বিক্রি করেছি। এটি রাজধানীর গুলশানের বৃত্তবান নিয়েছেন। এর খাবার তালিকায় আছে,
একটি ছাগলের এত দাম হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই ছাগলটি বাংলাদেশ একমাত্র বড় ছাগল এটি। এর বিটল ব্রিডের হওয়ার কারণেই এটির দাম ১২ লক্ষ টাকা।
ছাগলটি দেখতে এসেছেন জহির উদ্দিন বলেন, এত বড় ছাগল আগে কখনো দেখিনি। ছাগলের দাম নিয়ে জানতে চাইলে অনেকটা আশ্চর্য হয়ে তিনি বলেন, এই ছাগলের দাম যখন শুনেছে ১৫ লক্ষ টাকা তখন থেকে দেখার আকাঙ্ক্ষা ছিল। এখন দেখার পর বুঝলাম কেনো এত টাকা দাম হয়েছে। তবে এর মাংস হিসেবে যদি কেউ কিনে তাহলে এর দাম এত হওয়ার যোগ্য না। কবে শৌখিন হলে ঠিক আছে।
আরেক দর্শনার্থী রাফিদ বলেন, এত টাকা দিয়ে এই ছাগল কিনবে শুধু বৃত্তবানরা। কারণ তাদের টাকার হিসাব নেই। আসলে এই ছাগলের দাম ১২ লক্ষ টাকা হওয়ার কোনো যৌক্তিক কারণ দেখি না। তবে যিনি কোরবানির জন্য কিনেছে সেহেতু তিনি হয়ত তার সর্বোচ্চ ত্যাগটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
আরএস