ঈদের পরেও স্বস্তি নেই কাঁচামরিচে

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২৪, ০৯:১০ পিএম

ঈদের পরে উত্তাপ ছড়াচ্ছে নিত্যপণ্যের বাজার। এখনো বাজারে ঈদের আমেজ থাকলেও কমেনি নিত্যপণ্যসহ কাঁচামরিচের দাম।

এদিকে বাজারে অনেকটা চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ, মুরগি। গরিবের সবজি আলুর বাজারেও স্বস্তি নেই। কাঁচা মরিচের দামও সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে দ্বিগুণ।

গত সপ্তাহের তুলনায় কাঁচামরিচ কেজিতে ৬০ থেকে ৮০ টাকা বেড়ে প্রকারভেদে ২৮০ টাকা থেকে ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার রাজধানীর হাতিরপুল কাঁচাবাজার ও নিউমার্কেট কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

এসব বাজারের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন সরবরাহ কম থাকায় কাঁচামরিচের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।  

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রকারভেদে ২৮০ টাকা থেকে ৩২০ টাকা দরে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহেও এটি ২৪০ টাকা থেকে ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ব্রয়লার ১৯৫ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

সোনালি মুরগি কেজিতে ১০ টাকা কমে ৩১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি হাইব্রিড ২০ টাকা কমে ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি, লেয়ার মুরগি ১০ টাকা কমে ৩০০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে সপ্তাহ ব্যবধানে এসব বাজারে সব ধরনের সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। বাজারগুলোতে গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী ৮০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকায়, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ধুন্দুল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৭০ টাকা, সাজনা ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, বাঁধা কপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, ব্রুকলি ৪০ টাকা পিস, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৭০ থেকে ৮০ টাকা এবং গাজর ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।  

এছাড়া লাল শাক ১৫ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, মূলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৮০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১১০০-১১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

ইএইচ