আর্থিক খাত সংস্কারে গুরুত্বপূর্ণ চার সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২৪, ০১:১৭ এএম

দেশের আর্থিক খাত স্থিতিশীল ও সংস্কার এবং মূল্যস্ফীতি মোকাবিলার জন্য চারটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এর মধ্যে ব্যাংক খাতে টেকসই সংস্কারের জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে একটি ব্যাংক কমিশন গঠনের।

এছাড়া আর্থিক খাতের সার্বিক পরিস্থিতি ও সংস্কার বিষয়ে তৈরি করা হবে একটি রূপকল্প, অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার ১০০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করা হবে।

রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে এ তথ্য।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বৈঠকে বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে তারল্য বাড়ানোর উদ্যোগ হিসেবে আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ব্যান্ড ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ করা হয়েছে। বিনিময় হার নির্ধারণের ক্রলিং পেগ ব্যবস্থায় বর্তমানে ডলারের মধ্যবর্তীর দাম ১১৭ টাকা, যা ১১৮ টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারে। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে ডলারের দাম ১২০ টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারবে। এতে খুব দ্রুতই আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে তারল্য ফিরে আসবে এবং বিনিময়ের পরিমাণও দ্রুত বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।

মূল্যস্ফীতির বিষয়ে বলা হয়, চাহিদা ও যোগানের যথাযথ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশের বিদ্যমান মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনতে হবে। এজন্য মুদ্রানীতিকে সংকোচনমূলক অবস্থায় ধরে রাখতে হবে এবং একইসঙ্গে সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটাতে হবে। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু হয়েছে। তবে মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে স্বস্তি পেতে সবাইকে আরও কিছুদিন ধৈর্য ধরতে হবে বলে বৈঠকে জানানো হয়।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাব অনুযায়ী, গত জুলাই মাসে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। গত জুন মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। অন্যদিকে খাদ্য মূল্যস্ফীতি জুলাই মাসে বেড়ে ১৪ শতাংশ ছাড়িয়েছে, যা গত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে সর্বশেষ সর্বোচ্চ খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ২০১১ সালের এপ্রিলে, ১৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এরপর আর কখনো খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪ শতাংশে ওঠেনি।

 ইএইচ