ডিম আমদানিতে শুল্ক অব্যাহতি, ডজনে দাম কমবে ১৩ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২৪, ০৯:০৩ পিএম

বাজারে ডিম ও ভোজ্যতেলের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে সহনীয় পর্যায়ে রাখতে পণ্যগুলোর ওপর শুল্ক-কর অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

বৃহস্পতিবার এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈয়দ এ মুমেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এনবিআরের বিজ্ঞপ্তিতে যা বলা হয়েছে

ডিম

ডিমের ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে আমদানি পর্যায়ে প্রতি ডজন ডিমের মূল্য ১৩.৮০ টাকা কমবে। আমদানি শুল্ক কমানোর ফলে বাজারে ডিমের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে এবং ভোক্তা পর্যায়ে ডিমের মূল্য হ্রাস পাবে বিধায় তা সাধারণ ক্রেতার জন্য সহজলভ্য হবে। ডিম ব্যবহারকারী বিভিন্ন শিল্প যেমন কনফেকশনারি, বেকারি, ডিম নির্ভর খাদ্য উৎপাদক শিল্পের খরচ কমবে এবং বাজারে স্বস্তি ও ভারসাম্য ফিরে আসবে। ডিম আমদানিতে এ অব্যাহতি সুবিধা ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

ভোজ্যতেল

পরিশোধিত সয়াবিন তেল ও পরিশোধিত পাম তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে আরোপণীয় ১৫ শতাংশ এবং স্থানীয় ব্যবসায়ী পর্যায়ে আরোপণীয় ৫ শতাংশ মূসক অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে এবং অপরিশোধিত সয়াবিন তেল, অপরিশোধিত পাম তেল, আদার ইনক্লুডিং রিফাইনড পাম ওয়েল ও পরিশোধিত সয়াবিন তেল আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি পর্যায়ের মূসক ১৫ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

আমদানি পর্যায়ে এবং স্থানীয় পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর হ্রাস এবং প্রত্যাহার করার ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের মূল্য বৃদ্ধি সত্ত্বেও বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় এই পণ্যটির মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা সম্ভব হবে।ভোজ্যতেলের এ অব্যাহতি সুবিধা ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

চিনি

এর আগে ৮ অক্টোবর পরিশোধিত ও অপরিশোধিত চিনির ওপর বিদ্যমান নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৩০ শতাংশ হতে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৫০ শতাংশ হ্রাস করা সত্ত্বে বাজারে পরিশোধিত চিনির সরবরাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে এক সপ্তাহের মধ্যে পুনরায় পরিশোধিত চিনির ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক প্রতি মেট্রিক টন ছয় হাজার টাকা থেকে কমিয়ে প্রতি মেট্রিক টন চার হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করেছে। পরিশোধিত চিনির ওপর আমদানি শুল্ক এবং নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাসের ফলে পরিশোধিত চিনি আমদানি বৃদ্ধির মাধ্যমে বাজারে সরবরাহ বাড়বে এবং চিনির মূল্য সহনশীল পর্যায়ে রাখা সম্ভব হবে।

ইএইচ