আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে (পুঁজি পাচার বাবদ) বছরে প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে।
শুক্রবার বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির খসড়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কমিটি সূত্রে জানা গেছে, শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি, সরকারি নথি ও বৈশ্বিক প্রতিবেদন ব্যবহার করে অর্থ পাচারের চিত্র তুলে ধরেছে। তবে সময়ের অভাবে অর্থ পাচারের প্রকৃত পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এটি রোববার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করা হবে এবং পরদিন জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমিটির এক সদস্য জানান, কীভাবে অর্থ পাচার হয় এবং কীভাবে তা বন্ধ করা যায়, সেই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রতিবেদনটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রকৃত অবস্থা স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
কমিটির আরেক সদস্য জানিয়েছেন, পদ্মাসেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ এবং কানাডার আদালতের রায়ের বিষয়টি তাদের পর্যবেক্ষণে স্থান পেয়েছে। পাশাপাশি নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণের বিষয়টিও তাদের বিবেচনায় রয়েছে।
তিনি জানান, সরকারি ঋণ এবং বিশেষভাবে বিদেশি অর্থায়নে চলমান ২১৫টি প্রকল্পের ভবিষ্যৎ বিষয়ক প্রতিবেদনটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই প্রকল্পগুলোর আগামী চার বছরে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের দিকটিও পর্যালোচনা করা হয়েছে।
গত ২৯ আগস্ট বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশের জন্য ১২ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির সদস্যরা হচ্ছেন- অর্থনীতিবিদ একে এনামুল হক, কাজী ইকবাল, মোস্তাফিজুর রহমান, সেলিম রায়হান, শারমিন নীলোর্মি, মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, ফেরদৌস আরা বেগম, জাহিদ হোসেন, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ তামিম ও জনশক্তি রফতানি বিশেষজ্ঞ তাসনিম আরেফা সিদ্দিকী।
ইএইচ