আগামী ১ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে ২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা ২০২৫।
মেলা হবে রাজধানীর পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি), যা চতুর্থবারের মতো স্থায়ীভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
এবারের মেলা গত জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগকে সামনে রেখে সাজানো হবে। মেলার প্রধান প্রবেশদ্বারে থাকবে এই গণঅভ্যুত্থানের থিম, এবং শহীদ আবু সাঈদ ও মীর মুগ্ধের নামে দুটি কর্নার থাকবে।
যুবকদের জন্য আলাদা প্যাভিলিয়ন ও সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য বিশেষ জায়গা বরাদ্দ করা হয়েছে। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য কম দামে স্টল বরাদ্দ হবে।
এছাড়া, মেলা প্রবেশদ্বারে এবার পরিবর্তন আনা হয়েছে, যেখানে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান নিয়ে একটি থিম থাকবে। পুরো মেলায় ইপিবির কার্যক্রম ও আর্থিক খাতের বিষয়ও তুলে ধরা হবে।
টিকিট এবার অনলাইনে পাওয়া যাবে, যার মাধ্যমে দর্শনার্থীরা মোবাইলে কিউআর কোড দেখিয়ে মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন। ভিড় এড়ানোর জন্য এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রবেশ মূল্য প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৫০ টাকা এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২৫ টাকা থাকবে।
এবার ৭-৮টি দেশ তাদের পণ্য প্রদর্শন করবে। এসব দেশের মধ্যে ভারত, পাকিস্তান, ইরান, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, হংকং, সিঙ্গাপুর রয়েছে। মেলায় মোট ৩৫০টি স্টল থাকবে, যার ৯০% ইতোমধ্যে বরাদ্দ হয়েছে।
এছাড়া, এবারের মেলায় তিনটি ব্যাংকের এটিএম বুথ থাকবে এবং একটি ক্যাফেটরিয়া থাকবে যেখানে ৫০০ জন বসে খেতে পারবেন।
বিআরটিসি বাস সার্ভিসও থাকবে, যা প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলাচল করবে। দর্শনার্থীদের জন্য মিনিমাম ২০-২৫ টাকা ভাড়া থাকবে।
এবারের মেলায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে, যেখানে পুলিশ, র্যাব এবং সেনাবাহিনীসহ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। মোবাইল কোর্ট এবং সেনাবাহিনী ও পুলিশ মেলা প্রাঙ্গণের আশপাশের হকারমুক্ত করবে।
মেলায় ৭,৯১২ বর্গমিটার জায়গার দোতলা পার্কিং বিল্ডিং থাকবে, যেখানে ৫০০টি গাড়ি রাখা যাবে। এর পাশাপাশি রাজউকের পানির প্ল্যান্টে এক হাজার গাড়ি পার্কিং হবে।
ইএইচ