শিক্ষা সনদ জালিয়াতির প্রমাণ মেলায় আকিজ তাকাফুল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদে মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরীর নিয়োগ আবেদন না-মঞ্জুর করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ। শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ জালিয়াতি ও প্রতারণার প্রমাণ পাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
গত ৯ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) আকিজ তাকাফুল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যানকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ।
তিনি আকিজ তাকাফুল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদে যোগদান করেন ২০২১ সালের ২৭ জুন । পরবর্তীতে ২০২২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর আলমগীর চৌধুরীকে মুখ্য নির্বাহী পদে নিয়োগ অনুমোদন দিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে আবেদন করেন কোম্পানিটির চেয়ারম্যান শেখ শামীম উদ্দীন।
বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চিঠিতে বলা হয়েছে, আলমগীর চৌধুরীর নিয়োগ অনুমোদন আবেদন, তার দাখিলকৃত শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, কর্তৃপক্ষ দ্বারা তার পূর্বের দুটি কর্মক্ষেত্র হতে তদন্তপূর্বক প্রাপ্ত প্রতিবেদনসমূহের আলোকে জালিয়াতি এবং প্রতারণার মাধ্যমে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ সংগৃহীত হয়েছে প্রতীয়মান হওয়ায় সিইও পদে নিয়োগ প্রস্তাব না-মঞ্জুর করা হলো।
সেই সাথে বীমা কোম্পানিটির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার অব্যবহিত নি¤œপদের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন কর্মকর্তাকে ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে অবহিত করতে বলা হয়েছে।
নিয়ন্ত্রক সংস্থার দেয়া চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, বীমা আইন, ২০১০ এর ৮০ (৪) ধারা মোতাবেক কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদ একাধারে ৩ মাসের অধিক সময়ের জন্য শূন্য রাখা যাবে না। বিধায় ৩ মাস পূর্তির ১৫ দিন পূর্বে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ ও অপসারণ প্রবিধানমালা অনুযায়ী যোগ্য মুখ্য নির্বাহীর নিয়োগ প্রস্তাব এবং মুখ্য নির্বাহীর অব্যবহিত নি¤œপদের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন কর্মকর্তাকে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করে (প্রমাণকসহ) কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠাতে হবে।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের ১৭৭তম সভায় আলোচনাক্রমে, বীমা কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ ও অপসারণ প্রবিধানমালা-২০১২ এর আলোকে আকিজ তাকাফুল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পদে মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরীর নিয়োগের অনুমোদন প্রস্তাবের বিষয়ে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরএস