সরেজমিনে বাণিজ্য মেলা

রকমারি প্যাকেজ ও মূল্য ছাড়ের ছড়াছড়ি, সময় বাড়ানোর দাবি ব্যবসায়ীদের

রফিকুল ইসলাম, পূর্বাচল প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২৫, ০৫:৫৪ পিএম

পূর্বাচলে আয়োজিত ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শেষ হতে আর বাকি ৫ দিন। শেষ সময়ে মেলায় ঢুকতেই দেখা যায় বিভিন্ন স্টলে বাহারি অফার নিয়ে বিক্রেতাদের হাক-ডাক। মাত্র ১২০ টাকায় রঙিন মগ, বাটি, প্লেটসহ নানান শোপিস পাওয়া যাচ্ছে।

ভালো বেচাকেনা হওয়ায় ক্রেতা-বিক্রেতারা খুশি। পাশাপাশি ৭ দিন সময় বাড়ানোর দাবি ব্যবসায়ীদের।

রোববার সরেজমিনে মেলা ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে ক্রেতা দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর মেলা প্রাঙ্গণ।

ক্রেতা আকৃষ্ট করতে প্রায় সব স্টলেই দেখা যাচ্ছে রকমারি প্যাকেজ ও মূল্যছাড় দিচ্ছে ব্যবসায়ীরা। আগামী কয়েকদিনে আরও ভালো বেচাকেনার আশা বিক্রেতাদের।

বিক্রেতারা জানান, বাণিজ্য মেলায় এই শেষ সময়ের অপেক্ষায় থাকে ক্রেতা দর্শনার্থীরা। কারণ সকল ব্যবসায়ীরা এ সময়টাতেই সর্বোচ্চ ছাড় দিয়ে থাকে।

মেলায় আসা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা যায়, এ বছর দেশের চলমান পরিস্থিতিতে ১ জানুয়ারি মেলা শুরু হলেও প্রথম দিকে তীব্র শীত ও বৈরী আবহাওয়ায় মেলায় ক্রেতাসমাগম খুবই কম ছিল। সরকারি ছুটির দিনে দর্শনার্থী থাকলেও ক্রেতা ছিল কম।

আবার অনেকেই সময় মতো স্টল প্যাভিলিয়ন নির্মাণ করতে পারেনি। যে টাকায় বরাদ্দ নিয়েছে সে টাকা তুলতে না পারার আশঙ্কা রয়েছে অনেকের। তাই বিবেচনা করে ৭ দিন সময় বাড়ানোর দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।

বরাবরের মতো মেলায় গৃহস্থালি জিনিসপত্রের দোকানে ক্রেতা সমাগম সবচেয়ে বেশি, পুরো বছরের জিনিস কিনে নিচ্ছেন কেউ কেউ।

ঢাকার আগারগাঁও থেকে আসা মীর মামুন রঞ্জু বলেন, ইতিমধ্যে ১০ হাজার টাকার হাঁড়িপাতিল কেনাকাটা করলাম আরও কেনাকাটা করবো। এখানে জিনিসপত্রের কোয়ালিটি ভালো, তবে দাম কিছুটা বেশি মনে হচ্ছে।

বিদেশি নানা পণ্যের পাশাপাশি কাশ্মিরি কার্পেটের কদর এবারের মেলায়। ৪ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এসব কার্পেট।

কাশ্মিরি কার্পেট বিক্রেতা জানান, বাণিজ্য মেলায় কাশ্মিরি কার্পেটের অনেক চাহিদা রয়েছে। কারণ এটা মেলার বাইরে সচারাচর পাওয়া যায় না।

মেয়েদের জামা-জুতা রঙবেরঙের ব্যাগের স্টলেও ভিড় বেশি। পাওয়া যাচ্ছে ২০-৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়।

গাজীপুর থেকে আসা সুইটি আক্তার বলেন, মেলায় এসে অনেক কিছুই দেখলাম সবকিছুই মোটামুটি পছন্দের মতো। পাকিস্তানি এবং ভারতের কালেকশনগুলো বেশ ভালো লাগছে। মার্কেটের থেকে কম প্রাইজ হবে এর জন্য এখানে আসা।

ইএইচ