ঋণ খেলাপি ৯ মাস সময় করার প্রস্তাব ব্যবসায়ীদের

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২৫, ০৬:২৬ পিএম

দেশে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত মানায় বাড়ছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ । এতে ব্যবসায়ীরা আগের চেয়ে কম সময়েই খেলাপি হয়ে যাচ্ছেন। বিষয়টি ভালোভাবে নিচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। তাঁরা মনে করেন, ঋণখেলাপি হওয়ার জন্য বর্তমান ছয় মাসের পরিবর্তে নয় মাস করার প্রস্তাব দিয়েছে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের এই সংগঠন।

ব্যবসায়ীদের প্রস্তাব অপরিশোধিত ঋণের কিস্তি যে তারিখে পরিশোধে জন্য নির্ধারিত থাকবে সে তারিখ হতে পরবর্তী ৬ মাস অতিক্রম হওয়ার পর মেয়াদোত্তীর্ণ হবে। সেই সময় সীমা ৯ মাস করার প্রস্তাব করেছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই)

রোববার (২৬ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে এফবিসিসিআই প্রতিনিধিদল একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন। বৈঠকে দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। এফবিসিসিআই-এর সভাপতি উল্লেখ করেন, বেসরকারি খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রণোদনা ও নীতিগত সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

সভায় প্রতিনিধিদল থেকে শিল্প খাতের চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরা হয়। আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি, জ্বালানি খরচ বৃদ্ধি, এবং উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি দেশের ব্যবসা ও রপ্তানি খাতের জন্য উল্লেখযোগ্য চাপ তৈরি করছে। তাই রপ্তানি খাতে বিশেষ সহায়তা ও ব্যাংকিং নীতিমালা সহজীকরণের প্রস্তাব দেওয়া হয়।

এ বৈঠকে ব্যাংক ঋণের সুদহার সহনীয় পর্যায়ে রাখার দাবিও জানিয়েছেন তারা। বৈঠকে সংগঠনের পক্ষে নেতৃত্ব দেন এফবিআইয়ের প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান।

বৈঠক এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে সুদৃঢ় ও  বেগবান করতে সুদের হার স্থিতিশীল রাখা, ডলার যোগান স্বাভাবিক রাখা, ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প কারখানায় পলিসি সহায়তা এবং ঋণ পরিশোধের মেয়াদোত্তীর্ণ বর্ধিতকরণসহ অনেকগুলো দাবি জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে এফবিআইয়ের প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান বলেন,  বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশী পণ্যের প্রতিযােগীতা সক্ষমতা ধরে রাখা ও বিনিয়োগের স্বার্থে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদের হার স্থিতিশীল রাখার অনুরোধ জানানো হয়। একইসঙ্গে সুদের হার ক্রমান্নয়ে কমিয়ে আনাতে বলা হয়েছে। 

হাফিজুর রহমান বলেন,  আমদানি-রপ্তানি উৎপাদন কার্যক্রমে নিরবচ্ছিন্ন রাখার স্বার্থে বাজারে বৈদেশিক মুদ্রার (ডলার) যােগান স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখার অনুরোধ করছি। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্থ শিল্প কারখানা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমূহের স্বার্থে প্রয়ােজনীয় পলিসি সহায়তা প্রদান করার জন্য অনুরােধ করছি।

তিনি জানান, এসব অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে গভর্নর আশ্বাস দিয়েছেন বিষয়গুলো বিবেচনা করে দেখা।

আরএস