ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের তথ্য পাঠাতে নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের

আমার সংবাদ ডেস্ক প্রকাশিত: এপ্রিল ১৬, ২০২৫, ০৮:০৯ পিএম

ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের তথ্য তিন মাস অন্তর বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোতে (সিআইবি) তথ্য জমা দিতে হবে ব্যাংকগুলোকে। সেখানে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের নাম, পরিচয়সহ যাবতীয় তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

নতুন সার্কুলার অনুসারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের তথ্য দেওয়া (রিপোর্টিং) ক্ষেত্রে তিন ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রথমত, ব্যাংক কর্তৃক ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা শনাক্ত ও চূড়ান্তকরণের পর তা বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবিতে পাঠাতে হবে। ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতাদের সিআইবি ‘উইলফুল ডিফল্টার’ হিসেবে প্রদর্শন করতে হবে। দ্বিতীয়ত, ব্যাংক কর্তৃক ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতার ক্রম পুঞ্জীভূত তথ্য ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে বিবরণী আকারে পাঠাতে হবে। এ ছাড়া তিন মাস শেষ হওয়ার পরবর্তী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগে দাখিল করতে হবে। পাশাপাশি তাদের যাবতীয় দলিলপত্রও দিতে হবে। তৃতীয়ত, ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতাদের বিষয়ে ব্যাংকের শনাক্তকরণ ইউনিটের সদস্যদের নাম, মোবাইল নম্বর ও ই-মেইল অ্যাড্রেস—এসব তথ্য দিতে হবে।

তিন মাস পরপর ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণসংক্রান্ত তথ্য কীভাবে দিতে হবে, এর নমুনা ফরম তৈরি করা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতা ব্যক্তি হলে নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্মতারিখ, ব্যাংক শাখার নাম, কবে চূড়ান্তভাবে ইচ্ছাকৃত খেলাপির তালিকায় এসেছে—এসব তথ্য দিতে হবে।

ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে স্বত্বাধিকারীর নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্মতারিখ, ব্যাংক শাখার নাম, কবে চূড়ান্তভাবে ইচ্ছাকৃত খেলাপির তালিকায় এসেছে, এসব তথ্য দিতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি মাস থেকেই ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি শনাক্তকরণ ইউনিট গঠনের নির্দেশনা দিয়েছে প্রতিটি ব্যাংকে। এ ইউনিটের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে খেলাপিদের তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

আরএস