ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাড়াকৃত বাসের হেল্পার কতৃক এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মুহাইমিনুল হাসান।
রোববার (৩ জুলাই) ইবিয়ান নামক একটি ফেসবুক গ্রুপে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্যুর শেষে চুয়াডাঙ্গা থেকে ক্যাম্পাস আসার পথে আমি বাসের হেল্পারকে শেখপাড়া নামিয়ে দিতে বললেও বাস আমাকে নামার জন্য পর্যাপ্ত সময় না দিয়ে ক্যাম্পাস গেইট পর্যন্ত চলে যায়।
তখন বাসের হেল্পারকে বললাম, শেখপাড়া তে ১ মিনিট অপেক্ষা করলে আমরা জিনিসপত্র নিয়ে নামতে পারতাম। আপনি বোকার মত আমাদের এখানে নামিয়ে দিলেন। জিনিস নিয়ে যাওয়া আমার জন্য কষ্টকর হচ্ছিল। কিছুক্ষণ হাটার পর পিছন থেকে বাসের হেল্পার আমাকে ডাক দেয়। আমি পিছন দিকে তাকিয়ে দেখি উনি আমাকে মারার জন্য আসতেছে। আমার কাছাকাছি আসার পর আমি উনাকে ভদ্রসহকারে বললাম আমি রেগুলার ছাত্র। উনি আমাকে রেগুলার না বালের দেখার সময় নাই বলে ৩ টি থাপ্পর মারে।
পরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি প্রক্টর স্যারকে জানিয়েছি। স্যার এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশ্বাস দেন। শিক্ষার্থী পরিচয় দেয়ার পরও হেল্পার কেন আমার গায়ে কেন হাত তুলবে? আমি এর বিচার চাই।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে অনেক শিক্ষার্থী। রাকিব হাসান নামের একজন শিক্ষার্থী লিখেছেন একটা হেলপারের সাহস হয় কিভাবে ছাত্রের গায়ে হাত তোলা। ওই হেলপারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
মোঃ সাজিদ নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, এখন মনে হচ্ছে ইবিকে কর্মকর্তা-কর্মচারী, বাসের ড্রাইভার-হেল্পার, আর শিক্ষকদের ছেড়ে দিয়ে আমরা শিক্ষার্থীরা সবাই চলে যায়। কারন ইবিতে ভোগান্তি শুধু শিক্ষার্থীদের। এসকল অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন হোক।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। ক্যাম্পাস খুললে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও হেল্পারকে ডেকে উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
কেএস