সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) প্রধান ফটকের সামনে আলুর তল রাস্তায় কৃত্রিম জলাবদ্ধতায় ভোগান্তিতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী সহ পথচারীরা। প্রধান ফটকের সামনে রাস্তার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় তৈরি হয়েছে এই জলাবদ্ধতা। সিকৃবি প্রধান ফটকের সামনে আলুর তল নামক রাস্তা দিয়ে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সহ, সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ছাগল উন্নয়ন খামার, টিলাগড় ইকোপার্কে যাতায়াতকারীদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। এই রাস্তায় বাস, কার, মাইক্রবাস, মোটরসাইকেল, রিকশা-ভ্যান সহ প্রায় সব ধরনের যানবাহন নিয়মিত চলাচল করে। এছাড়াও টিলাগড় ইকোপার্কে পর্যটক নিয়মিত যাতায়াত করায় এই রাস্তায় নিয়মিত বাড়ছে ব্যস্ততা। কৃত্রিম জলাবদ্ধতায় এলাকাবাসী সহ এই সকল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী-শিক্ষক সহ সংশ্লিষ্টরা পড়েছেন চরম সমস্যায়।
এছাড়াও শিক্ষার্থী ও পথচারীরা বলছেন, সিকৃবি ক্যাম্পাসের সামনে দীর্ঘ দিন ধরে চলমান ইন্সটিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (আইএলএসটি) এর অবকাঠামোগত কাজের কারণে পূর্বে বিদ্যমান পানি নিষ্কাশনের যায়গা নির্মাণ কাজের বালু ভরাট হয়ে এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, রাস্তার পাশে পূর্বে বিদ্যমান ড্রেনেজ সিস্টেম বালি দিয়ে ব্লক হওয়ায় অতিরিক্ত পানি বের হতে পারছে না, ফলে পানি রাস্তায় আটকে রাস্তা ভেঙে যাচ্ছে।
ভাঙ্গা রাস্তায় যাতায়াতে সমস্যায় বিরক্ত হয়ে কিছুদিন আগে এলাকার তিনজন রিকশাচালক স্ব-উদ্যোগে সিকৃবি ক্যাম্পাস থেকে পরিত্যক্ত খোয়া-বালি সংগ্রহ করে খানা-খন্দক ভরাট করলেও বৃষ্টিতে সব ধুয়ে আবার আগের অবস্থা তৈরি হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়েও ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। লক্ষ্য করা গেছে, রাস্তার দুপাশের মধ্যে একপাশের পানি সিকৃবির সীমানায় তৈরি ড্রেনের মাধ্যমে নিষ্কাশন হলেও রাস্তার অপর পাশে কোন ড্রেন না থাকায় বৃষ্টির পানির কারণে রাস্তায় কৃত্রিম জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। যার ফলে রাস্তায় খানা-খন্দক তৈরি হয়েছে।
পথচারী বলেন, রাস্তা পার হতে বেগ পেতে হচ্ছে। এই রাস্তা আগে ভালোই ছিল, কয়েক মাস যাবৎ এই রাস্তায় পানি জমে থাকে। রাস্তাটা ইতোমধ্যে ভেঙ্গে গেছে। ভাঙ্গা রাস্তা পানির নিচে থাকায় দুর্ঘটনাও ঘটছে বলে উল্লেখ করেন তারা। এছাড়াও পথচারীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এমন জলাবদ্ধতা মোটেই কাম্য নয়।
রাস্তায় যাতায়াতকারী সিকৃবি শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে কৃত্রিম জলাবদ্ধতায় আমাদের চলাচলের অসুবিধা হচ্ছে। বৃষ্টির পর আমরা এই রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতে পারি না। এমনকি যানবাহন চলাচলেও সমস্যা সম্মুখীন হতে হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা দ্রুত এই সমস্যার সমাধান চান।
এ ব্যাপারে সিকৃবি সহকারী প্রক্টর ড. আমিনুর রশিদ বলেন, ব্যাপারটি আমারও নজরে এসেছে। তিনি জানান, প্রধান ফটকের সামনে রাস্তায় ড্রেন নেই, পানি জমে থাকে এবং রাস্তাটি ভাঙ্গা। এর কারণে প্রায় সবারই সমস্যা হচ্ছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করবেন বলে জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরের পরিচালক প্রকৌশলী মো. ফয়জুর রহমানের সাথে এ বিষয়টির সমাধানের কোন পরিকল্পনা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই মূহূর্তে আমাদের কোন পরিকল্পনা নেই। তবে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক, প্রক্টর ও আসন্ন ভর্তি কমিটির সাথে ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা করবো। তিনি বলেন সাময়িকভাবে ইটের খোয়া দিয়ে সমস্যার সমাধান করা যাবে। এছাড়াও পরবর্তীতে এলজিইডি তে এ ব্যাপারে চিঠি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এসএম