ঠিকাদারের অবহেলায় অপরিচ্ছন্ন ঢাকা কলেজ

ঢাকা কলেজ প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২, ০৭:৩৫ পিএম

সবুজে ঘেরা মাঠ। একটি নয় দুটি মাঠ। সবসময়ই দেখা যায় শিক্ষার্থীরা খেলাধূলায় ব্যস্ত। ৮ টি ছাত্রাবাস রয়েছে। কিন্তু মাঠের কিনারে বা ছাত্রাবাসের আশপাশের চিত্র ভিন্ন। বলছি ঢাকা কলেজের কথা।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) কলেজের ছাত্রাবাস সংলগ্ন গেট দিয়ে প্রবেশ করে ছোট মাঠের দিকে যেতেই হাতের ডান পাশে চোখ পরবে ময়লার স্তুপ।  যা শেখ কামাল ছাত্রাবাসের পিছনে। এখানেই শেষ নয়  উত্তর ছাত্রাবাসের সামনের অংশে ছোট মাঠের কোনায় ময়লার স্তুপ। একটু সামনে এগিয়ে গিয়ে মাঠের পশ্চিম পাশেও ময়লা ফেলে রাখা হয়েছে। যা পশিম ছাত্রাবাসের সামনের অংশে। আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ছাত্রাবাসের প্রবেশের গেটেও ময়লার স্তুপ কম নয়। শহীদ ফরহাদ ছাত্রাবাসের দক্ষিণ পাশেও ময়লার বেয় বড় স্তুপ। দক্ষিণ ছাত্রাবাসে দক্ষিণে ছোট ছোট ময়লা স্তুপ চোখে পড়ল। মসজিদের দক্ষিণ কোণায়ও ময়লার ভাগার। জিমনেশিয়ামের সামনে মাটির স্তুপ দেখা গেছে।

ময়লা হিসেবে দেখা যায় ছাত্রাবাস সংস্কার করার কারনে  ইটের টুকরা, বালি, সিমেন্ট, পলিথিন, বোতল, ভাঙা টাইলস, বেঞ্চের টুকরা, উচ্ছিষ্ট খাবার, তরকারির খোসা, হলের পুরাতন জিনিস  জমা হয়ে স্তুপে পরিণত হয়।

ঢাকা কলেজের আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ছাত্রাবাসের আবাসিক শিক্ষার্থী মেহেদি হাসান জানান, আমাদের হলের সামনে সবসয়ই ময়লা থাকে। বিভিন্ন সময় ঠিকাদাররা কাজ করে ময়লা হলের সামনেই রেখে যায়। মনে হয় যে এসব দেখার কেউ নাই ক্যাম্পাসে। আমাদের হলের সামনের অংশে রেলিং দেয়া হয়েছে। কিন্তু সেখানেও ময়লা। এসব জায়গা পরিষ্কার করে বাগান করা যেতে পারত।

ময়লা অপসারণের ব্যাপারে শহীদ মো: ফরহাদ হোসেন ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক নাসির উদ্দীনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হল সংস্কার করার কারনে বিভিন্ন ময়লা ইটের টুকরা, বালি, হলের পুরাতন জিনিস জমা হয়ে স্তুপে পরিণত হয়। আমার হলের কাজের দায়িত্ব ঠিকাদার মোশাররফের। আমি গতকাল মোশাররফের সাথে কথা বলেছি দ্রুত ময়লা নিয়ে যাওয়ার জন্য।

কবে নাগাদ ময়লা সরানো হবে এই বিষয়ে ঠিকাদার মোশাররফের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ১ বছর আগে কাজ করেছি শহীদ মোঃ ফরহাদ হোসেন হলে। আমার কাজের ময়লা থাকতে পারে সেখানে। কিন্তু হল প্রভোস্ট নাসির উদ্দীন স্যারের সাথে কাজের পরেও যোগাযোগ করলে তিনি ময়লার  কথা কিছু বলেন নি আমাকে। হল প্রভোস্ট স্যার কথা বলেছেন আমার ইঞ্জিনিয়ারের সাথে  ময়লা সরানোর জন্য। আমাকে বললে আমি ময়লাগুলো সরিয়ে দিতাম। আমি মাত্র জানতে পারলাম ময়লার কথা। খুব দ্রুতই আমি সরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করব।

এ বিষয়ে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ময়লা নিয়ে আমরা শিক্ষক পরিষদ অনেক চিন্তিত। এগুলোর দায়িত্ব ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক শিক্ষকদের। তারাও অনেক চিন্তিত। আমরা শিক্ষকরা গতকালকেও এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। ঠিকাদাররা কাজ শেষ করে চলে গেছে ময়লাগুলো সরায়নি। আমরা ঠিকাদারদের সাথে যোগাযোগ করছি কিন্তু তাদের ব্যস্ততার কারনে সময় দিতে পারছে না। অতিদ্রুত এসব অপসারণের ব্যবস্থা হবে বলে আশা করছি।

কেএস