খেলার মাঠের বেহাল দশায় ক্ষুব্ধ সিকৃবি শিক্ষার্থীরা

সিকৃবি প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২২, ০৭:৪০ পিএম

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) কৃষি অনুষদ ছাত্র সমিতির আয়োজনে অন্তঃঅনুষদীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট বিজয়ী দল কৃষি অনুষদের এগার তম ব্যাচ। বুধবার শুরু হওয়া টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছিল কৃষি অনুষদের ছয়টি দল।

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। কৃষি অনুষদের ৯ম ও ১১ তম ব্যাচের মধ্যকার খেলা এক এক গোলে অমীমাংসিত থাকায় খেলা গড়ায় ট্রাইবেকারে। ট্রাইবেকারে এগার তম ব্যাচ নবম ব্যাচকে পরাজিত করে দ্বিতীয় বারের মত সেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

নওশাদ জামানের সঞ্চালনায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আসাদ-উদ-দৌলা। এসময় তিনি বলেন, ছাত্রদের খেলাধুলার আগ্রহ দেখে আমি তাদের খেলা আয়োজনের অনুমতি দিয়েছি। কিন্তু এই মাঠ খেলার অনুপযোগী। আমি প্রত্যাশা করি অচিরেই এই মাঠ ঠিক করা হবে হবে। খেলাধুলার মাধ্যমে  ছাত্রদের মেধার বকাশ ঘটে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার যথেষ্ট পরিবেশ তৈরি করে দিতে পারছি না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মোঃ আশিকুর রহমান (আশিক) বলেন, এইরকম মাঠে ছাত্ররা খেলবে তা জীবনে কল্পনা করিনি। আমরা দাবি জানিয়েছিলাম, অতি দ্রুত খেলার মাঠ উপহার দেয়ার জন্য। কর্তৃপক্ষকে বলতে চাই, বিবেকের কাছে প্রশ্ন করেন এধরনের মাঠে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খেলতে পারে কিনা। এই ছেলেরা এমন মাঠে কষ্ট করে খেলছে, বিষয়টি আমার কলিজায় আঘাত করেছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২২ এ এই বিশ্ববিদ্যালয় কেন অংশ নিতে পারেনি তার উত্তর কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমরা এমন মাঠ আর দেখতে চাইনা। খেলাধুলার সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখতে আপনারা দ্রুত এই মাঠ সংস্কার করুন।

এছাড়াও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সিকৃবি শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ এমাদুল হোসেন বলেন, এই মাঠ নিয়ে প্রশাসনের কোন মাথা ব্যথা আছে বলে মনে হয় না। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলেন, আসুন খেলার মাঠে, ছেলেরা হালচাষ করা মাঠে খেলছে দেখে যান। এই মাঠে খেলা সম্ভব না উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুধু খেলার প্রতি ভালোবাসা থেকে তারা খেলছে। তিনি আরো বলেন, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আপনারা চিন্তা করবেন, ছাত্রদের কত টুকু প্রাপ্য আর তারা কতটুকু পাচ্ছে।

খেলায় অংশগ্রহণ করা খেলোয়াড়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছে, এই মাঠে খেলা খুব কষ্টকর। মাঠ আসলে খেলার জন্য অনুপযুক্ত। তারা জানান, খেলার প্রতি ভালোলাগা থেকেই প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও আমরা প্রায় পরিত্যক্ত মাঠে নেমেছি।

খেলা পরবর্তী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে ট্রফি তুলে দেয় কৃষি অনুষদের ডিন ও কৃষি অনুষদ ছাত্র সমিতির সভাপতি সহ উপস্থিত অতিথিবৃন্দ। টুর্নামেন্টে উদীয়মান খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছে ১৪ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শহীদুল ইসলাম জয়। এছাড়াও সেরা গোলরক্ষক ১১ তম ব্যাচের আমাদুল শাওন, সর্বোচ্চ গোলদাতা ও ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় ৯ম ব্যাচের আবদুল্লাহ আল কামরান এবং টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছে ১১ তম ব্যাচের শামীম রেজা।

পুরস্কার বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, ছাত্র প্রতিনিধি সহ অন্যান্য শিক্ষার্থীবৃন্দ।

এসএম