বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ২৭ আগস্ট রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টরকে অপদস্থ এবং সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত ৩০ আগস্ট ওই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে তদন্ত কমিটিকে নির্দেশ দেয়। কিন্তু ৭ কার্যদিবস পেরিয়ে ২৯ দিনেও জমা পড়েনি তদন্ত প্রতিবেদন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. ছাইফুল ইসলাম।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি এন্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. সুকুমার সাহাকে আহ্বায়ক এবং সহকারী প্রক্টর ফিজিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. আফরিনা মুস্তারিকে সদস্য সচিব করে ওই তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা ও এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম এবং উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোক্তার হোসেন।
তদন্ত প্রতিবেদন জমা না দেওয়ার বিষয়ে তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. আফরিনা মুস্তারিকে, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট সম্পূর্ণ করেছি। দুই এক দিনের মধ্যে জমা দিবো। হলের সামনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা করছি।
এ বিষয়ে বাকৃবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ঘটনার শুধু তদন্ত কমিটি হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে বিলম্ব এবং প্রতিবেদন জমা হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। এতে করে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন অপরাধ বেড়ে চলেছে। অপরাধীরা সুযোগ পাচ্ছে। সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার স্বাধীন সাংবাদিকতার অন্তরায়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দুর্বলতাই এখানে বিশেষভাবে প্রতীয়মান হচ্ছে। প্রশাসন বিচারে ব্যর্থ হলে আমরা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করবো।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (২৭ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল হলে রাতে র্যাগিংয়ের ঘটনা সমাধান করতে গিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দ্বারা অপদস্থ ও অবরুদ্ধের শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয়েরই সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. রিজয়ানুল হক (কনক)। এ সময় হলে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রথমে হেনস্থা ও পরে পরিকল্পিত হামলার শিকার হয়েছেন ক্যাম্পাসের ৪ জন সাংবাদিক। ওই ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দাবি করে গত রোববার ২৮ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী ওই সাংবাদিকরা।
এসএম