সিকৃবির উপাচার্য হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্বে ড. মেহেদী হাসান

সিকৃবি প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০২২, ০২:২০ পিএম

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মেয়াদপূর্তিতে পরবর্তী উপাচার্য নিযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসনিক ও আর্থিক প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন এবং ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মেহেদী হাসান খান -কে সাময়িকভাবে নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।

সোমবার (৩ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপসচিব মোঃ মাহমুদুল আলম এ আদেশ জারি করেন।

উল্লেখ্য, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য সাবেক উপাচার্যের মেয়াদকাল পূর্ণ হয়েছে ২৭ সেপ্টেম্বর। পরবর্তী উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্বে থাকবেন।

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মেহেদী হাসান খান বলেন, আমাকে এই দায়িত্ব দেয়ায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। আমি পূর্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেছি। আমার জন্য এটি নতুন দায়িত্ব। এছাড়াও প্রশাসনিক ও আর্থিক প্রয়োজনে আমাকে যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তা সৎভাবে পালনের চেষ্টা করে যাব। স্বল্প সময়ের জন্য দায়িত্ব পেলেও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষা, গবেষণা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে এগিয়ে নিতে আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাব বলে জানান তিনি।

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মেহেদী হাসান খান ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পশু পালন বিষয়ে স্নাতক, ২০০১ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়োকেমিস্ট্রিতে স্নাতকোত্তর ও ২০১০ সালে যুক্তরাজ্যের নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণী পুষ্টি বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

ড. মেহেদী ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক, বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন ও বিভাগীয় চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। এছাড়াও তিনি সিন্ডিকেট সদস্য, অর্থ কমিটি, রিসার্চ এডভাইজরি কমিটি, কোয়ালিটি এস্যুরেন্স সেল, একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য, হলের প্রাধ্যাক্ষসহ বিভিন্ন একাডেমিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেছেন।

তার মোট ৬১ টি গবেষণাপত্র ও ৩ টি বই প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে মোট ২১ টি গবেষণাপত্র উপস্থাপিত হয়েছে। এপর্যন্ত ড. মেহেদী ১৫ জন স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীর গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক ও ১০ জন শিক্ষার্থীর স্নাতকোত্তর গবেষণায় সহ-তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন।

এসএম