চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সিন্ডিকেটে ডিনদের প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য উপাচার্য বরাবর চিঠি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদের ডিনরা।
উপাচার্য বরাবর ডিনদের চিঠি দেওয়ার বিষয়টি আমার সংবাদকে নিশ্চিত করেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নাসিম হাসান।
এর আগে বুধবার (১২ অক্টোবর) সিন্ডিকেটে প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বরাবর বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদের ডিনদের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়।
এ চিঠিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৭৩ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যনির্বাহী পর্ষদ সিন্ডিকেট এর শিক্ষক প্রতিনিধি ক্যাটাগরীতে ডিনদের প্রতিনিধি অন্যতম, যা শূন্য রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তসমূহ প্রতিনিধিত্বশীল রাখার নিমিত্তে এ পদ পূরণ করা অপরিহার্য। অতএব সিন্ডিকেটে ডিন থেকে প্রতিনিধি নির্বাচনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
চিঠিতে স্বাক্ষরকারী ডিনরা হলেন- কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুবুল হক, বিজ্ঞান অনুষদে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাসিম হাসান, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের অধ্যাপক মো. হেলাল উদ্দিন নিজামী, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লাহ, আইন অনুষদের অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক, জীববিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক ড. মো. তৌহিদ হোসেন, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের অধ্যাপক ড. রাশেদ মোস্তফা এবং মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম।
এর আগে ২০১২ সালে সর্বশেষ ডিন ক্যাটাগরিতে সিন্ডিকেট সদস্য নির্বাচিত করা হয়। এরপর গত ১০ বছর কেটে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় ডিনদেন এ সিন্ডিকেট প্রতিনিধি নির্বাচনে ভোটের হাওয়া লাগে নি। অনুষ্ঠিত হয় নি কোনো নির্বাচন।
বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নাসিম হাসান বলেন, সিন্ডিকেটে প্রতিনিধি নির্বাচনের বিষয়ে আমাদের কমিউনিটিতে আলোচনা হয়েছে। আমরা উপাচার্য বরাবর এই নিয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। সর্বশেষ ২০১২ সালে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ছিল। আমি আশাবাদী যে উপাচার্য মহোদয় এই বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিবেন এবং সিন্ডিকেটে ডিনদের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন।
সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লাহ এবিষয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে যেসব সিদ্ধান্ত হয়, এতে সবার অংশগ্রহণ প্রয়োজন। অথচ দীর্ঘদিন চবির সিন্ডিকেটে ৮টি পদ শূন্য রয়েছে। কোনও নির্বাচিত শিক্ষক প্রতিনিধি না থাকায় কতৃপক্ষের সিদ্ধান্তগুলো প্রতিনিধিত্বশীল হচ্ছে না। তাই আমরা ডিনদের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য উপাচার্য বরাবর চিঠি দিয়েছি।