ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের নেতাকর্মী সন্দেহে অন্তত ত্রিশ-চল্লিশ জন নেতাকর্মীকে পিটিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এদের মাঝে অন্তত পাঁচজনকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে।
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত এই কার্যক্রম অব্যাহত ছিলো। পরে দুপুরের খাবার শেষে আবার অবস্থান নিয়ে বিকেল পাঁচটায় কর্মসূচির সমাপ্তি হয়। সকাল ৯ টার দিকে কিছু ছাত্রদলের নেতাকর্মীদেরকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
জানা গেছে, সকাল ৮ টা থেকেই নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেয় জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরবর্তীতে তাদের সাথে যোগ দেয় এফ রহমান হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় সকাল ৯টার দিকে নীলক্ষেত মোড় দিয়ে প্রবেশের সময় দফায় দফায় কয়েকজন করে আটকায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এসময় তাদের মোবাইল ফোন তল্লাশি করেন তারা। পরে তাদের ছাত্রদলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। এসময় তাদেরকে জহুরুল হক হল সভাপতি কামাল উদ্দিন রানা ও সেক্রেটারি রুবেল হোসেনের নেতৃত্বে এলোপাতাড়ি লাথি, ঘুষি দিয়ে আহত করা হয়। সকালে ৫ জনকে মারধরের পরে পুলিশে সোপর্দ করা হলেও পরবর্তীতে বাকিদের মারধর করে পুলিশে না দিয়ে নীলক্ষেতের দিকে তাড়িয়ে দেয়া হয়।
এসময় নেতাকর্মীদের মোড়ে অবস্থান নিয়ে একশন একশন ‘ডাইরেক্ট একশন, বিএনপির-ছাত্রদলের চামড়া, তুলে নেবো আমরা’, ‘খালেদা জিয়া এইট পাশ- গণতন্ত্রের সর্বনাশ’, ‘হৈ হৈ রৈ রৈ, জামাত শিবির-বিএনপি গেলো কই’ বিএনপি / জামাত-শিবির দেখে যা- আসছে রে তোর বাপেরা ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে জহুরুল হক হল সভাপতি কামাল উদ্দিন রানা বলেন, এভাবে সারাদিন যত ছাত্রদল বা বিএনপির নেতাকর্মী ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে চাইবে আমরা তাদের কঠোরভাবে প্রতিহত করে যাবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মী ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে চাইলে মারধর করে পুলিশে দিয়েছেন। তাদের মোবাইল ফোন চেক করে নিশ্চিত হয়েছেন, তারা ছাত্রদল করে।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ গণমাধ্যমকে বলেন, পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অপরাধের কোনো তথ্য না পেলে ছেড়ে দেওয়া হবে।
এআই