অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান একই থাকবে: কুবি উপাচার্য

কুবি প্রতিনিধি প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৪, ২০২২, ০৬:৪৪ পিএম

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এফ. এম. আবদুল মঈন বলেছেন, যেকোনো দুর্নীতি এবং অন্যায়কে আমি প্রথম দিক থেকেই কঠোরভাবে প্রতিহত করে আসছি। আমার এ অবস্থান বরাবরই একইরকম থাকবে।

বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজের গণমাধ্যমে মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আব্দুল মঈন বলেন, তিনি কি বলেছেন আমি জানি না। এমনকি এসব বিষয়ে আমি আগ্রহী নই। আমি কোন মন্তব্য করতে ইচ্ছুক নই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে কাজ করতে গিয়ে সেই ৩১ মার্চ থেকে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছি।  এরকম কে কোথায় আমাকে নিয়ে কথা বললো এসব বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে ইচ্ছুক নই। যদি আমাকে কেউ অফিসিয়ালি এসব বিষয়ে জানতে চায় তাহলে হয়তো আমি জবাব দিব।

উপাচার্য আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, শান্তি, গবেষণা, উন্নতি, দুর্নীতি মুক্তকরণ এবং টেন্ডার বাজি, অর্থের বিনিময়ে চাকরি, চাঁদাবাজি বন্ধে আমি বরাবরই সোচ্চার থাকব। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণামুখী করে এবং মেধাবীদের বৃত্তিপ্রদান করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপান্তর করতে চাই।

এর আগে বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে শাখা ছাত্রলীগের পক্ষে থেকে পৃথকভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়ে সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এফ. এম. আবদুল মঈন বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ট।

ইলিয়াস হোসেন সবুজ আরও বলেন, উপাচার্য ছাত্রলীগকে ধ্বংসের পাঁয়তারা করছেন। উপাচার্য প্রশাসনের লোকদের বলে বেড়াচ্ছেন; ছাত্রলীগ বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু থাকবে না। বঙ্গবন্ধুর হাতেগড়া সংগঠনকে ধ্বংস করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন এই উপাচার্য।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আপনি যেভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে যাচ্ছেন, তারা চুপ থাকতে পারে। কিন্তু ছাত্রলীগ চুপ থাকবে না। আপনার অডিও রেকর্ড আছে, আপনি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে গিয়ে কীভাবে মিথ্যাচার করেছেন। আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব জায়গায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চাচ্ছেন।

এর আগে, গত ২৯ নভেম্বর (মঙ্গলবার) মেরিট না থাকলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বললেও ছাত্রলীগকে চাকরি দেবেন না বলে সতর্ক করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন নিয়োগ ইস্যুতে উপাচার্যের কার্যালয়ে কথা বলতে গেলে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে উপাচার্যের বাগ-বিতণ্ডা হয়।

কেএস