রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) ৯ শিক্ষক ও কর্মকর্তাকে কাফনের কাপড় পাঠিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) `সচেতন নাগরিক সমাজ` নামে ডাকযোগে চিঠির মাধ্যমে এ হুমকি দেওয়া হয়।
রাজশাহী নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: হাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হুমকি পাওয়া শিক্ষক-কর্মকর্তারা হলেন রেজিস্ট্রার ড. সেলিম হোসেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. ফারুক হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ড. রবিউল আওয়াল, সহ-সভাপতি ড. জগলুল শাহাদাত, ছাত্রকল্যাণ দপ্ততের উপ-পরিচালক মামুনুর রশীদ, কম্পোট্রোলার নাজিম উদ্দীন আহমেদ, সহকারী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ, সেকশন অফিসার রাইসুল ইসলাম রোজ ও সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাস শেখ।
চিঠি খুললে ভিতরে সাদা কাফনের কাপড়ের ২টি টুকরো পাওয়া যায়। এই ব্যাপারে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাবৃন্দের মাঝে চরম আতঙ্ক এবং সকলে প্রাণনাশের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ঘটনায় রুয়েট কর্তৃপক্ষ সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে।
রুয়েট কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে গত ৬ ডিসেম্বর জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিদর্শন কমিটির সাথে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ও অনাকাঙ্খিত ঘটনার যোগসূত্রতা হতে পারে।
এ বিষয়ে রুয়েট শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি ড. জগলুল শাহাদাত বলেন, আমি দুপুরের পরে একটি চিঠি পাই। চিঠি নিয়ে রেজিস্টার অফিসে গেলে দেখতে পাই আমার মতো অনেকেই এমন চিঠি পেয়েছেন। পরে পুলিশও সেখানে আসে। পরে এটা নিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
রুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি ফারুক হোসেন বলেন, ‘শুদ্ধাচার কৌশলের আওতায় একটি কমিটি করা হয়েছে। সেই কমিটিতে যারা যারা অনুপস্থিত ছিলেন তাদের নিয়মমতো অফিস করার জন্য আমরা ফোন করি। তবে একজন বিষয়টি মেনে নেননি। তিনি সবার সামনে আমাকে গালিগালাজ করেন। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে এই চিঠি আসতে পারে বলে আমার ধারণা।’
জানতে চাইলে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: হাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জিডি করেছে । কাফনের কাপড় না সাদা কাপড় সেটি বলতে পারছি না। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেএস