জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) নবম ও দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, বাংলাদেশের ইতিহাস ও সভ্যতা এবং পৌরনীতি ও নাগরিকতা বইয়ের উপর সংশোধনী দিয়েছে। সম্প্রতি এনসিটিবির প্রধান সম্পাদক সন্তোষ কুমার ঢালীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত নিম্নলিখিত পাঠ্যপুস্তকে যেসব ভুল পরিলক্ষিত হয়েছে তার সংশোধনী উল্লেখ করা হলো :
বাংলাদেশের ইতিহাস ও সভ্যতা : ১৮১ পৃষ্ঠার পাঠ্যপুস্তকে যা যাবে, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জুড়ে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী নির্যাতন, গণহত্যা আর ধ্বংস লীলায় মেতে ওঠে। ২০০ পৃষ্ঠায় যাবে, ১২ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর কাছে শপথ নেন।
২০২ পৃষ্ঠায় যাবে, সংবিধান প্রণয়ন ১৯৭২ এর পটভূমি অংশের প্রথম অনুচ্ছেদের পর যুক্ত হবে.... সংবিধান প্রণয়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শিক অবস্থান প্রতিফলিত হয়েছিল। সংবিধান প্রণয়নের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর সার্বক্ষণিক দিক নির্দেশনা ছিল। তিনি সংবিধান কমিটিকে বিভিন্ন মৌলিক বিষয়ে প্রত্যক্ষ নির্দেশনা দিয়েছিলেন। ২০৩ পৃষ্ঠায় যাবে, ষষ্ঠ লাইনে পঞ্চমভাগে আইনসভা।
বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় : ০৬ পৃষ্ঠার পাঠ্যপুস্তকে যাবে, ৫৪ সালের নির্বাচনে ৫টি দল নিয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়। দল পাঁচটি হলো, আওয়ামী লীগ, কৃষক শ্রমিক পার্টি, নেজামে ইসলাম, গণতন্ত্রী দল ও পাকিস্তান খেলাফতে রব্বানী পার্টি।
১৬ পৃষ্ঠায় যাবে, রাজারবাগ পুলিশ লাইন ও পিলখানা ইপিআর সদর দপ্তর।
২৮ পৃষ্ঠায় যাবে, সাধারণ মানুষের মৌলিক মানবাধিকার সংরক্ষণ এ সংবিধানের বৈশিষ্ট্য।
পৌরনীতি ও নাগরিকতা : পাঠ্যপুস্তকের ৫৭ পৃষ্ঠায় যাবে, `রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও কাজ` এর ১ ক্রমিক এর অনুচ্ছেদে প্রতিস্থাপিত হবে... `রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের প্রধান। রাষ্ট্রের সকল শাসনসংক্রান্ত কাজ তার নামে পরিচালিত হবে।
তিনি প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্র ব্যতীত তাঁর সকল দায়িত্ব পালনে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী কাজ পরিচালনা করেন। তিনি মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপ-মন্ত্রীদের নিয়োগ করেন।
রাষ্ট্রের শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তাদের ( মহা হিসাব রক্ষক, রাষ্ট্রদূত ও অন্যান্য উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা) নিয়োগের দায়িত্বও রাষ্ট্রপতির উপর ন্যস্ত। তিন বাহিনীর ( সেনা, বিমান ও নৌবাহিনী) প্রধানদের তিনি নিয়োগ দেন।
৫৯ নং পৃষ্ঠায় যাবে, `প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ও কাজ`-১ ক্রমিকের অনুচ্ছেদটি প্রতিস্থাপিত হবে... `প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদের প্রধান। প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃত্বে সংবিধান অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করা হয়। তিনি মন্ত্রীসভার সদস্য নির্ধারণ করেন ও মন্ত্রীদের মধ্যে দপ্তর বন্টন করেন। তিনি যেকোন মন্ত্রীকে তার পদ থেকে অবসরের পরামর্শ দিতে পারেন`।
এআরএস