শীতার্তদের পাশে জাবি সায়েন্স ক্লাব

জাবি প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৮, ২০২৩, ০৯:০৬ পিএম

জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি সায়েন্স ক্লাবের (জেইউএসসি) উদ্যোগে ‍‍`অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর একটু চেষ্টা‍‍` শীর্ষক শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে এ শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় এবং আশেপাশের এলাকার শতাধিক শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।

শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি সম্পর্কে জাবি সায়েন্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাকিল হোসাইন তীব্র বলেন, শীতের সৌন্দর্য সবাই সমানভাবে উপভোগ করতে পারে না। শীতকালে সমাজের অনেক মানুষ যেমন কম্বল মুড়িয়ে রচনা করে নানান কাব্য তেমনি শীতার্ত অসহায় মানুষ হাড়কাঁপানো ঠাণ্ডায় রচনা করে মৃত্যু জয়ী গদ্য। এই অসহায় মানুষের কষ্ট কিছুটা ভাগ করে নিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাব শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি পালন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি গেইট, প্রন্তিক গেইট ও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থানরত শীতার্ত মানুষদের কাছে শীত বস্ত্র পৌঁছে দিয়েছে।

এ সময় তিনি সমাজের সকল ধনীদের এ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে আহবান করেন।

ক্লাবের সভাপতি সাকিল ইসলাম বলেন, জাবি সায়েন্স ক্লাব বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় বিভিন্ন কার্যক্রমের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচী পালন করে। তীব্র শীতে গরিব ও অসহায় মানুষেরা কষ্টে দিনযাপন করছে। শীতার্ত এ মানুষগুলোর কিছুটা কষ্ট কমাতে আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রয়াস। সীমিত পরিসর হলেও শীতার্তদের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমরা আনন্দিত।

ভবিষ্যতে আরো বাড় পরিসরে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি আরো বলেন, অসহায় দুঃস্থদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ক্লাবের এ কার্যক্রমে সকল অংশীদারদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাবি সায়েন্স ক্লাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক আলমগীর কবির, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার, ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান সনেট, আরিফুল ইসলাম আরিফ এবং অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

প্রসঙ্গত, জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি সায়েন্স ক্লাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির আশীর্বাদ সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। এর মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ, বৃক্ষরোপণ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

কেএস