মেস ভাড়া নিয়ন্ত্রণে হাবিপ্রবি ছাত্রলীগের স্মারকলিপি

হাবিপ্রবি সংবাদদাতা প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৪, ২০২৩, ০৩:১৫ পিএম

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মেসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের ওপর চাপিয়ে দেয়া অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ন্ত্রণে আনা এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে হওয়া হয়রানি বন্ধ করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ স্থানীয় সরকার প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে ছাত্রলীগের হাবিপ্রবি শাখা।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, দিনাজপুর জেলা প্রশাসক, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা পুলিশ সুপার এবং মেস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।

স্মারকলিপিতে তারা বলেন, ছাত্রলীগের হাবিপ্রবি শাখার আবেদনের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মেস মালিক সমিতির আলোচানার প্রেক্ষিতে মেসের সিট ভাড়া কমানোর কথা বলা হলেও মেস মালিক সমিতি এর বাস্তবায়ন করেনি। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মেসে অবস্থান করা শিক্ষার্থীের আর্থিক সমস্যা প্রকট হয়ে পড়েছে। মেসে অবস্থানরত প্রায় ১২০০ শিক্ষার্থীর অভিযোগে প্রেক্ষিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামতের প্রতিফলন ও অধিকার বাস্তবায়ন জরুরি বলে তারা উল্লেখ করেন।

স্মারকলিপি উল্লেখিত দাবিগুলো হলো,

১. স্থানীয় মেসগুলোর মধ্যে টিনশেড মেসগুলোতে সিঙ্গেল সিট, ডাবল সিট এবং তিন সিটের রুমের ভাড়া যথাক্রমে ৭০০,৫০০ এবং ৪৫০ টাকা ; সাধারণ ফ্ল্যাটের সিঙ্গেল, ডাবল এবং তিন সিটের রুমের ভাড়া যথাক্রমে ১০০০,৬০০ এবং ৫০০ টাকা এবং টাইলস ফ্ল্যাটের সিঙ্গেল, ডাবল এবং তিন সিটের রুমের ভাড়া যথাক্রমে ১২০০,৭০০ এবং ৬০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।

২. ১২ মাসের চুক্তিভিত্তিক শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক মেসে রাখতে বাধ্য করা যাবে না। শিক্ষার্থীরা সিট ছাড়ার ১ মাস আগে মেস মালিককে অবহিত করবেন।

৩. মেস মালিকরা শিক্ষার্থীদের সাথে অসদাচরণ করতে পারবেন না।

৪. মেস মালিকগণ মেসের সকল শিক্ষার্থীদের মেসে অবস্থানের সময় পূর্ণ নিরাপত্তার ব্যবস্হা করবেন।

৫. অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত কারো যদি মেস মালিকদের মধ্যে থেকে থাকেন তাদেরকেই এগিয়ে এসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে।

৬. আবাসিক মেসগুলো শুধুমাত্র প্রকৃত মালিকগণ পরিচালনা করবেন। কোনোভাবেই, কারো কাছে চুক্তি ভিত্তিক বাসা ভাড়া দিয়ে সেটি মেস হিসেবে পরিচালনা করা যাবে না।

সর্বশেষ প্রতিটি মেসের একজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি,বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগ এবং প্রক্টরসহ অন্যান্য শিক্ষকদের ও মেস মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক-কে সমন্বয় করে একটি কার্যকরী কমিটি গঠন করার দাবি জানানো হয় যাতে করে শিক্ষার্থী প্রতিনিধির কাছ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সকল তথ্য জানতে পারেন।

এছাড়াও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জানুয়ারি মাসের মধ্যেই  বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, মেসের সাধারণ শিক্ষার্থীদের কয়েকজন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হাবিপ্রবি শাখার নেতৃবৃন্দ ও মেস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে মিটিংয়ের আহ্বান জানান এবং আগামী ফেব্রুয়ারী থেকেই উপরোক্ত দাবিগুলোর যথাযথ বাস্তবায়নের প্রত্যাশা করেন তারা।

আরএস