ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠিতব্য সকল নিয়োগ বোর্ড স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ।
রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এ এইচ এম আলী হাসান সাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ২০ তারিখ অনুষ্ঠিতব্য মেডিকেল অফিসারের নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ড ২৩ তারিখ অনুষ্ঠিতব্য শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞানের প্রভাষক ও গণ যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপকের নির্বাচনী বোর্ড সভা অনিবার্য কারণ বশত স্থগিত করা হলো। উক্ত নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডের তারিখ ও সময় পরবর্তীতে জানানো হবে।
জানা যায়, আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হবে। এই নিয়োগকে কেন্দ্র করেই গত বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ফারাহ জেবিন নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে ৬ মিনিট এবং পরবর্তীতে আরও দুইটি অডিও একই আইডি থেকে ভাইরাল হয়েছে। অডিও ক্লিপে উপাচার্যের কথা শোনা গেলেও অন্য প্রান্তের কোন কথা শোনা যায়নি। অডিওতে গনযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড বাতিল হওয়া, প্রশ্ন পত্র ও আগামীতে বোর্ড অনুষ্ঠিত হওয়া সম্পর্কে নানা বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
অডিওর ব্যাপারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, আমি খণ্ডকালীন শিক্ষক অলিউর রহমানের সঙ্গে কথা বলেছি। কাউকে আবেদন করতে বললেই কি চাকরি দিয়ে দিলাম।
প্রশ্ন ফাঁসের ব্যাপারে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত তো পরীক্ষাই হয় নাই। পরীক্ষার প্রশ্ন তো আমরা করি পরীক্ষার দিন ভোরে। প্রশ্ন তো কেউ একা করেন না।
অডিওটি কারা ভাইরাল করতে পারে সেই প্রশ্নে তিনি বলেন, আজকাল যে কীভাবে কী হয়। আমিতো ওতো বেশি টেকনোলজি লিটারেট না। আমি কারোর পক্ষেরও না। সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারব না। কাজটা যারা করেছে আমি তাদের রুচি নিয়ে প্রশ্ন করি।
কেএস