আগামী বছর নতুন সিস্টেমে পরীক্ষা হবে, সারা বাংলাদেশে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটাই পরীক্ষা হবে সেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার। তাই গুচ্ছ বহাল থাকবে, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা থেকে বের হওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড.এ কে এম লুৎফর রহমান। গুচ্ছভুক্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গতকাল সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) আলোচনায় বসেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির বক্তব্যে জবি শিক্ষক সমিতি আপত্তি জানিয়েছেন বলে দৈনিক আমার সংবাদকে জানান জবিশিস এর সাধারণ সম্পাদক। তিনি শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অন্যদের (ঢাবি, চবি, জাবি সহ গুচ্ছের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়) গুচ্ছের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি করেন।
শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন পরবর্তী বছর তারাও যুক্ত হবে। এসময় অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, তাহলে পরবর্তী বছর আমরাও যুক্ত হবো এ বছর আমরা একক পরীক্ষা নিতে চাই। শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন গত বছর যা ভুলত্রুটি হয়েছে সেগুলো সংশোধন করে গুচ্ছতে থাকতে হবে আমরা বলেছি তাহলে আমাদের সিদ্ধান্ত একাডেমিক কাউন্সিলে হবে।
জবি শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে আগামী ২ মার্চ সাধারণ সভার আহ্বান করা হয়েছে। সেখানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছে থাকা না থাকার দাবি দাওয়া পুনঃবিবেচনা করা হবে।
২৭ ফেব্রুয়ারি চলতি ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে সভায় বসেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার দাবি তুলেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষক সমিতির নেতাদেরও ডাকা হয়।
জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ ইমদাদুল হক বলেন, জবি গুচ্ছে থাকতে চায় না বিষয়টি উত্থাপন করেছিলাম আমরা। শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন এবার নতুন করে আর সিদ্ধান্ত হবে না যেহেতু এবার সময় কম তাই গুচ্ছ নিয়ে আগের সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। আগামী বছর নতুন সিস্টেমে পরীক্ষা হবে, সারা বাংলাদেশে একটা পরীক্ষা হবে সেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার।
উল্লেখ্য, গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টিও শোনা যাচ্ছে।
বর্তমানে গুচ্ছভুক্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় হলো- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি), হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি), মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি), পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি), নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি), কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি), জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (জাককানইবি), যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি), বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি), পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি), রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাবিপ্রবি), রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেফমুবিপ্রবি), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
কেএস