শৌচাগারের কার্যক্রম চলছে নোটিশে

পবিপ্রবি প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ১৩, ২০২৩, ০৬:১৬ পিএম

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) আবাসিক হলের শৌচাগারে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থীরা। অভিযোগ রয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহার করায় মাত্র কয়েকবছরে এসব জিনিস নষ্ট হয়ে গেছে।

শনিবার (১৩ মে) সরেজমিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।

উক্ত হলের সি ব্লকের শৌচাগারগুলোতে সমস্যাগুলো পরিলক্ষিত হয়। দেখা যায়, শৌচাগারগুলো অপরিচ্ছন্ন, দীর্ঘদিন বেসিনগুলো পরিষ্কার করা হয় না, মেঝে থেকে শুরু করে ছাদ পর্যন্ত ঝুলে পরিপূর্ণ। ট্যাপগুলো অধিকাংশই পুরোপুরি অকেজো, আবার কোনোটা থেকে অনবরত পানি পড়ছে।

সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলো কয়েকটি শৌচাগারের দরজার নোটিশ লাগানো আছে। সেগুলোতে লেখা আছে "উপরের পাইপ থেকে পানি পড়ে"। সমস্যাগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে মারাত্মক সমস্যা। কারণ এই পাইপ হলো উপরের তলার বর্জ্য পদার্থ চলাচলের পাইপ। প্রথম কেউ ভুল করে প্রবেশ করলে পড়তে হয় বিব্রতকর অবস্থায়।

এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, ওয়াশরুমের পাইপ থেকে পানি আমাদের গায়ে পড়ে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে এটা আমাদের জন্য দুঃখজনক। দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যা চলছে।

আরেক শিক্ষার্থী মীর মো. নুরুন্নবী বলেন, দরজাগুলো ঠিকমতো বন্ধ করা যায় না, প্রচন্ড শব্দ হয়। প্রভোস্ট অফিসে অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও কোনো সমাধান পাই নাই, প্রভোস্ট স্যার তাৎক্ষণিকভাবে নির্দেশ প্রদান করলেও কর্মচারীরা তা বাস্তবায়িত করে না।

একই হলের শিক্ষার্থী মো. ইমরান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ডাস্টবিন পরিষ্কার করা হয় না, বেসিনে আয়না নেই। সপ্তাহে ২ দিন পরিষ্কার করার কথা বলা হলেও ১ দিন পরিষ্কার করে। পানির ট্যাংকি  পরিষ্কার করা হয় না ফলে অপরিচ্ছন্ন পানির ব্যবহারে অনেকের চুল পড়ে যাচ্ছে। আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার অনুরোধ করছি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড.জাহিদ হাসান বলেন, বিষয়গুলো সম্পর্কে আমি অবগত আছি। ট্যাপতো চলমান সমস্যা আমরা লিস্ট করেছি এবং লাগাচ্ছি। পাইপ ক্রয় করা হয়েছে দ্রুতই লাগানো হবে, তবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে।

আমাদের ২ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী রয়েছে তাদের মধ্যে ১জন কাজ করে আরেক জন ঠিকমতো কাজ করে না। তাঁর বিষয়ে প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। আমরা তাঁকে হলে রাখবো না এবং একই সাথে আমরা নতুন পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগ দিবো। আশা করি দ্রুতই সমস্যাগুলো সমাধান হবে।

এইচআর