গুচ্ছের `সি` ইউনিটের (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে গুলিস্তান সদরঘাট এবং যাত্রাবাড়ী থেকে সদরঘাট রোডে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। বাস-ট্রাক-লেগুনা, রিক্সার কারনে সৃষ্ট এই যানজটের ফলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রে পৌঁছাতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় পার্শ্ববর্তী সবগুলো রোডে গার্ডিয়ান এবং শিক্ষার্থীদের ভিড়ের কারণে যান চলাচল স্থবির হয়ে পড়ে। এর ফলশ্রুতিতে মারাত্মক অসুবিধায় পড়েছে এই রোড দিয়ে চলাচল করা যাত্রীরা।
পরীক্ষার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বাস-ট্রাক রিক্সার অবাধ চলাচলের ফলে ভোগান্তিতে পড়ে তীব্র সমালোচনা করছেন পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।
এদিকে দয়াগঞ্জ নতুন রাস্তার মোড়ে ঢাকা - নারায়ণগঞ্জ রেললাইনের কাজ চলমান থাকায় এক লেনেই সব ধরনের যানবাহন চলাচল করছে, ফলে যাত্রাবাড়ী ও এর আশপাশের এলাকা এবং ঢাকার বাইরে থেকে যে সকল শিক্ষার্থী জবিতে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসছে, তাদের দীর্ঘক্ষণ জ্যামে আটকা পড়েছেন।
ভর্তি পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের গুনতে হচ্ছে অধিক ভাড়া। তাদের অভিযোগ ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ নিয়ে বেশ কিছু রিকশা চালক অধিক ভাড়া আদায় করছে।
ইদ্রিস মিয়া নামের এক রিকশাচালক বলেন, ১০-২০ টাকাই তো বেশি চাই। রাস্তা ঘাটে বহুত জ্যাম। একবার ভার্সিটির ওইদিক গেলে সারাদিন লাইগা যায়।
ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করা কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের সন্তানরা জ্যামের কারনে পরীক্ষার হলে পর্যন্ত ঢুকতে পারছে না। বাস রিক্সা সহ অনান্য যানবাহন একেবারেই গেটের কাছে যার কারনে জ্যাম বেধে একেবারে নাজেহাল অবস্থা হয়ে দাড়িয়েছে। প্রচন্ড এই গরমে এমনিতেই মানুষের এতো ভিড় তার ভিতর এই জ্যাম সত্যিই হতাশাজনক।
ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করা এক শিক্ষার্থী বলেন, পরীক্ষা শুরুর ৪ ঘণ্টা আগে মোহাম্মদপুর থেকে রওনা দিয়েছে, পরীক্ষা শুরু হতে আর ৩০ মিনিট বাকি। এই গরমে এভাবে জ্যাম ঠেলে এসে পরীক্ষা দিতে আর মনোবল থাকে না।
এইচআর