যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছে ভুক্তভোগী সাংবাদিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইপিই বিভাগের শিক্ষার্থী জহুরুল ইসলাম।
বুধবার (৩১ মে) যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বরাবর এক লিখিত অভিযোগে তিনি অনাস্থা জানিয়ে নতুন তদন্ত কমিটি গঠনের জন্য আবেদন করেছেন। এছাড়া ভুক্তভোগী ভবিষ্যতে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রমাণক হিসেবে ওইদিনের সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে লিখিত আবেদন করলেও তা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট হলটির প্রভোস্ট ড. মো. আশরাফুজ্জামান জাহিদ।
উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগে জহুরুল বলেন, ‘আমি গত ২২/০৫/২০২৩ তারিখে বিশ^বিদ্যালয়ের শারিরীক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আসিফ আল মাহমুদ ও ছাত্রলীগ কর্মী বেলাল হোসেন কর্তৃক মারধরের শিকার হই। এ ঘটনায় বিশ^বিদ্যালয়ের শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের সম্মানিত প্রভোস্ট মহোদয়ের নির্দেশে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির সম্মানিত সদস্যদের প্রশ্নের ধরণ শুনে আমার মনে হয়েছে, প্রকৃত ঘটনা তাঁরা আড়াল করতে চেয়েছেন। আমি জানতে পেরেছি, যবিপ্রবির মাননীয় উপাচার্য বরাবর দাখিলকৃত তদন্ত প্রতিবেদনে ওইদিনের ঘটনা সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয়নি। আমি আরও জানতে পেরেছি, তদন্ত কমিটির সদস্যবৃন্দ অত্যন্ত সুকৌশলে অভিযুক্তদের পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে অভিযুক্তদের পক্ষে তদন্ত ফলাফল প্রদান করেছেন, যা বিশ^বিদ্যালয়ের সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে। আমি উক্ত তদন্ত প্রতিবেদনের উপর অনাস্থা জ্ঞাপন করছি। একইসঙ্গে সম্পূর্ণ নতুন ও শক্তিশালী একটি তদন্ত কমিটি গঠনের বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।’
এবিষয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর তদন্ত প্রতিবেদনের প্রতি অনাস্থার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এর প্রেক্ষিতে দ্রুতই একটি উচ্চ পর্যায়ের শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
সিসিটিভি ফুটেজের বিষয়ে শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. আশরাফুজ্জামান জাহিদ বলেন, আমরা একটি লিখিত আবেদন পেয়েছি কিন্তু প্রভোস্ট বডি সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিষয়টি তদন্তাধীন হওয়ায় সিসিটিভি ফুটেজ দেওয়া হবেনা।
আরএস