ফের আন্দোলনে মানারাতের শিক্ষার্থীরা

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: জুন ৭, ২০২৩, ০৬:৪৪ পিএম

মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস আশুলিয়ায় রাখার দাবিতে আবারও আন্দোলনে নেমেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৭ জুন) দুপুরে মানারাতের আশুলিয়া ক্যাম্পাসের মূল ফটকের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা একটি মানববন্ধন করেন।

মানববন্ধনে উদ্বেগ প্রকাশ করে শিক্ষার্থীরা জানান, যেখানে কলা অনুষদের ডিন স্যার নিজেই বলেছেন, গুলশান ক্যাম্পাস নিয়ে ৮টি মামলা চলমান। তাহলে কিভাবে তারা আমাদের গুলশান ক্যাম্পাস নিয়ে যেতে চায়। তাদের এ ধরনের কার্যক্রম দেখে মনে হচ্ছে তারা আমাদের হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীদের ক্যারিয়ার এবং ভবিষ্যত নিয়ে ছেলে খেলা করতে চাইছে।

তারা বলেন, গুলশানের মতো জনবহুল এলাকায় যাতায়াতে পোহাতে হবে বিশাল বিশাল জ্যামের ধকল। এরপর আর ক্লাস রুমে মনযোগ দেওয়ার মতো শারীরিক এবং মানসিক অবস্থা থাকে না। ছোট ওই ক্যাম্পাসে নেই খেলার মাঠও। তাছাড়া আমাদের থাকা ও খাওয়ার ব্যয়ভারও অনেক বেড়ে যাবে।

এসময় অভিভাবকরা বলেন, আমরা এই এলাকায় বসবাস করি। বাসার পাশেই ক্যাম্পাস জন্য ছেলে-মেয়েদের এখানে ভর্তি করিয়েছি যেন যাতায়াতে খুব বেশি কষ্ট করতে না হয়। আর এই এলাকাটা কোলাহল মুক্ত, যেটা শিক্ষার জন্য অনুকূল পরিবেশ। তবে এখন শুনছি কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাস স্থানান্তর করতে চাইছে। ওই এলাকাটা মোটেও শিক্ষার জন্য উপযুক্ত নয়।

তারা আরও বলেন, যেখানে তারা নিজেরাই বলছে গুলশান ক্যাম্পাস নিয়ে একটা বা দুইটা নয় আটটি মামলা চলমান। তাহলে সেখানে ক্যাম্পাস পরিবর্তন করে কি তারা আমাদের ছেলে-মেয়েদের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলে দিতে চাইছে?

এসময় অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা বিশ্বাস করি আমাদের সন্তানদের তাদের কাছে দিয়েছিলাম শিক্ষা গ্রহণের জন্য। কিন্তু তারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে, আমাদের ছেলে-মেয়েদের জীবনকে ধ্বংসের পায়তারা করছে।

উল্লেখ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগে উঠেছে। যে সকল শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করেছে তাদের ডেকে ডেকে বিভিন্ন ভাবে হেনেস্তার অভিযোগও উঠেছে। কলা অনুষাদের ডিল ড. ওবায়দুল্লাহর নেতেৃত্বে আইন বিভাগের প্রধান আজহারুল ইসলাম, ফার্মাসি বিভাগের প্রধান নার্গিস সুলতানা ও ট্রিপলি ডিপার্টমেন্টের সহকারী অধ্যাপক সাঈদ ইসলামের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের হুমকি ও হেনেস্তা করার অভিযোগ উঠেছে।

এর আগে গত সোমবার (২৯ মে) তারিখেও আশুলিয়ায় স্থায়ী ক্যাম্পাস রাখার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি দিয়েছিলো শিক্ষার্থীরা।

এইচআর