সাত দফা দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রাজধানীর সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়ক ছেড়েছেন। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে তাদের একটি প্রতিনিধি দল সাত কলেজের সমন্বয়ক ও ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সুপ্রিয়া ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করার পর তারা সড়ক থেকে সরে যান। এরপর যান চলাচল শুরু হয়।
সাত কলেজের শিক্ষার্থী আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. তসলিম চৌধুরী বলেন, ‘সাত কলেজের সমন্বয়ক ও ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সুপ্রিয়া ভট্টাচার্যের সঙ্গে আমরা দেখা করেছি। তিনি দাবি মেনে নেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন। এর মধ্যে দাবি মানা না হলে বৃহস্পতিবার অনির্দিষ্টকালের জন্য নীলক্ষেত অবরোধ করব।’
শিক্ষার্থীরা যেসব দাবি জানিয়েছে সেগুলো হলো
১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের হয়রানির কারণ ব্যাখ্যা এবং শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
২.যে সকল শিক্ষার্থী পরবর্তী বর্ষের ক্লাস, ইনকোর্স পরীক্ষা ও টেস্ট পরীক্ষা পর্যন্ত অংশগ্রহণ করার পর জানতে পেরেছেন তারা নন- প্রমোটেড; তাদের মানোন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার সুযোগ দিতে হবে।
৩. সকল বিষয়ে পাস করার পরও একটা স্টুডেন্ট সিজিপিএ শর্তের জন্য নন প্রমোটেড হচ্ছেন। সিজিপিএ শর্ত শিথিল করতে হবে।
৪. বিলম্বে ফলাফল প্রকাশের কারণ ও এই সমস্যা সমাধানে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তার ব্যাখ্যা দিতে হবে। সর্বোচ্চ তিন মাসের (৯০ দিন) মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করতে হবে।
৫. সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অভিভাবক কে বা কারা? কোথায় তাদের সমস্যা উপস্থাপন করবে? তা ঠিক করে দিতে হবে।
৬. একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
৭. শিক্ষক ও ক্লাসরুম সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
উল্লেখ্য, এর আগেও একই দাবি নিয়ে কয়েক দফা নীলক্ষেত মোড় ও ইডেন কলেজের সামনে অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা।
আরএস