ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ`র (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, `টেকসই উন্নয়নের ১৭ টি অভীষ্টই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে দুর্নীতি প্রতিরোধ ছাড়া টেকসই উন্নয়নের কোন অভীষ্ট অর্জন সম্ভব নয়। দুর্নীতি টেকসই উন্নয়নের অন্তরায়।`
শনিবার ( ১২ আগস্ট) আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত আন্তঃইয়েস দুর্নীতিবিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, টেকসই উন্নয়ন আমাদের জন্য যেমন দরকার, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আরো বেশি দরকার। টেকসই উন্নয়নে বলা হয়েছে কেউকে পিছিয়ে রাখা যাবে না। তবে দুর্নীতির কারণে বৈষম্য তৈরি হচ্ছে। দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা। সরকারি শীর্ষ পর্যায় থেকে বারবার দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহশীলতা বলা হয়। কিন্তু এটাকে শুধু মুখে বললে হবে না, কাজে লাগাতে হবে। যারা দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন, তাদের কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে জনগণকেও রুখে দাঁড়াতে হবে। বঙ্গবন্ধু দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। তিনি ১৯৭৫ সালে ঘোষণা করেছিলেন, প্রত্যেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুর্গ গড়ে তুলো। তিনি আরও বলেছিলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আজকের অনুষ্ঠানে তরুণদের আহ্বান জানাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ড. নজরুল ইসলাম। আরও উপস্থিত ছিলেন টিআইবি`র সিভিক এনগেজমেন্ট এর পরিচালক ফারহানা ফেরদৌস, শেকৃবি ইয়েস গ্রুপের মডারেটর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. হারুন- অর রশীদ। এছাড়া বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষকবৃন্দ এবং ঢাকার ১২টি ইয়েস গ্রুপের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সকাল ৯টায় শুরু হয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা। ফাইনাল পর্বে অংশগ্রহণ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ইয়েস গ্রুপ ও শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট ইয়েস গ্রুপ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বিতর্কে বিজয়ী হয়েছে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট ইয়েস গ্রুপ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। রানার্সআপ হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ইয়েস গ্রুপ। সেরা বক্তা নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ রকিব মিয়া। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সবাইকে দুর্নীতি প্রতিরোধে শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কোষাধ্যক্ষ ড. নজরুল ইসলাম বলেন, বিতর্কের মাধ্যমে মানবিক গুণাবলি বিকশিত হয়। মানসিক বিকাশ লাভ করে। আশা করি এই বিতার্কিকরা জাতীয় পর্যায়ে পৌঁছাবে। দেশের অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখবে। টিআইবির এ ধরনের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। আশা করি সামনেও অব্যাহত থাকবে।
আরএস