‘বঙ্গবন্ধু হত্যায় চক্রান্তকারীদের মরণোত্তর বিচার করতে হবে’

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২৩, ০৬:০৯ পিএম

বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার সাথে দেশি বিদেশি চক্রান্তকারীদের অতিসত্বর বিচার এবং প্রয়োজনে হলে মরণোত্তর বিচারের দাবি করেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শোক দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপাচার্য আরও বলেন,  বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সঙ্গে যারা যুক্ত ছিলেন শুধু তাদের বিচারের আওতায় আনলে হবে না, যারা চক্রান্তের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সেই চক্রান্তকারীদের আজকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। যদি সেটি না করা হয় তাহলে চক্রান্তের রাজনীতি থামানো যাবে না। গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র সে ষড়যন্ত্র থামানো যাবে না। একারণে গণতন্ত্রের ভিত মজবুত করতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে যে চক্রান্ত হয়েছিল  সেই চক্রান্তকারীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

এর আগে শোক দিবসের প্রথম প্রহরে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়। পরে সকালে প্রশাসনিক ভবনের সামনে কালো ব্যাজ ধারণের পর জাতীয় সঙ্গীতের সাথে কালো পতাকা উত্তোলন ও  জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ করা হয়। এরপর একটি শোক পদযাত্রা প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যে গিয়ে শেষ হয়।  বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে সেখানে ভাস্কর্যের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক,কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন সংগঠন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে দিবসটিকে কেন্দ্র করে বাদ যোহরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

এ সময় বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক  ড. নজরুল ইসলাম, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুশাররাত শবনম, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. রিয়াদ হাসান, চারুকলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তপন কুমার সরকার, প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি মাসুম হাওলাদার, সদস্য সচিব নুসরাত শারমিনসহ অন্যরা।

পরবর্তীতে বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়ধ্বনি মঞ্চে আলোচনা সভা শেষে ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।

এআরএস