খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের নবীন শিক্ষার্থীদেরকে (`২৩ ব্যাচ) র্যাগিং এর নামে মানসিক হয়রানির অভিযোগ উঠেছে একই ডিসিপ্লিনের ‘২২ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ওই ডিসিপ্লিনের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গত ১৬ আগস্ট নতুন ব্যাচের শিক্ষার্থীদের (২৩ ব্যাচ) ক্লাস শুরু হয়। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে ঐ ডিসিপ্লিনের ইমিডিয়েট সিনিয়র ব্যাচ (২২ ব্যাচ) কর্তৃক বিভিন্নভাবে মানসিক হয়রানির শিকার হয়ে আসছিলেন নবীন শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে গত ১২ সেপ্টেম্বর তারা ছাত্র বিষয়ক পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ জমা দেন।
এদিকে খুবির ছাত্র বিষয়ক পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ক্লাসের নির্দিষ্ট সময় শেষ হওয়ার পরও ঘণ্টার পর ঘণ্টা ক্লাসে আটকে রাখা, কারণে–অকারণে গালাগালি করা, বিভিন্নভাবে মানসিক নির্যাতন করা হয়। এছাড়াও সন্ধ্যার পর ক্যাম্পাসের ভেতরে কোথাও ডেকে নিয়ে হয়রানি করছেন প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা।
সূত্রে আরও জানা যায়, অভিযোগ জমা দেওয়ার পরদিন (১৩ সেপ্টেম্বর) স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের ‘২৩ ব্যাচের রুবায়েত আলম নামে এক শিক্ষার্থীকে সোনাডাঙায় এক সিনিয়রের বাসায় আটকে রাখারও মৌখিক অভিযোগ এসেছে।
এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য ইতোমধ্যে ৩ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ কমিটিতে গণিত ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক রাজু রায়কে আহবায়ক এবং আইন ডিসিপ্লিনের প্রভাষক সৌরভ ঘোষকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। এছাড়া কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক কেএম আব্দুল্লাহ আল আমিন রাব্বি। তাঁরা তিনজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক শরীফ হাসান লিমন বলেন, ‘আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি, এবং ইতোমধ্যে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে৷
তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দিলেই আমরা ব্যবস্থা নিবো।’
এঅরাএস